প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেছেন, যারা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছেন তারাই প্রকৃত সমাজসেবক। এটা আদিকাল থেকে চলে আসছে। স্বেচ্ছাসেবকরা সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যাশায় এগিয়ে চলছেন। বর্তমানে দেশে ১০ লাখ স্বেচ্ছাসেবক কাজ করে যাচ্ছেন। তরুণরাই স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে রাষ্ট্র ভাষার জন্য আন্দোলন করেছেন। তারাই যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছেন। স্বেচ্ছাসেবী ছাড়া সুন্দর বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়।
সোমবার আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী দিবস উপলক্ষ্যে ভিএসও বাংলাদেশ আয়োজিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব আলী চৌধুরী হলে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকা বিশ্বদ্যায়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন ভিএসও বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর খাবিরুল হক কামাল।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মালালা ফান্ডের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ মোশাররফ তানসেন। অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন ব্রিটিশ কাউন্সিলের প্রোগ্রামস বাংলাদেশের ডিরেক্টর ডেভিড নক্স, বাংলাদেশ নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনের শিক্ষা উপদেষ্টা মোহাম্মাদ গোলাম কিবরিয়া, ইউএসআইডি বাংলাদেশের প্রোগ্রাম ডেভেলপমেন্ট স্পেশালিস্ট শাহীন সিরাজ, সিসেম বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মাদ শাহ আলম, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. মাহবুবা নাসরীন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার উন্নত বাংলাদেশ করার জন্য নানাভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সরকার কেবিনেটে স্বেচ্ছাসেবী নীতিমালা পাশ করেছে। আগে সবাই পড়াশোনা শেষ করে চাকরি করার চিন্তা করতেন। কিন্তু অনেকেই এখন স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে পেশা বেছে নিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, সরকার সামাজিক নিরাপত্তা বাড়িয়েছে। আড়াই কোটি ছাত্রকে বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। গৃহহীনদের বাড়ি করে দিচ্ছে। তরুণরাই উন্নত দেশ গড়ার কারিগর। বাল্যবিয়ে রোধ করতে স্বেচ্ছাসেবকদের এগিয়ে আসতে হবে।
অনুষ্ঠানে ৬৪ জেলার ১২০ জন স্বেচ্ছাসেবীকে তাদের স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজের জন্য সম্মাননা দেওয়া হয়।