সেবা সহজীকরণে মাগুরা জেলা প্রশাসনের ডিজিটাল ওয়ান স্টপ সার্ভিস 
বাংলাদেশ

সেবা সহজীকরণে মাগুরা জেলা প্রশাসনের ডিজিটাল ওয়ান স্টপ সার্ভিস 

মাগুরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা ই-সেবা কেন্দ্রে জেলা প্রশাসনের সব ধরনের সেবা দ্রুত প্রাপ্তির লক্ষ্যে ডিজিটাল কিয়স্ক মেশিন চালু করা হয়েছে। এই মেশিনের মাধ্যমে একজন সেবাগ্রহীতা সহজেই সেবার নাম উল্লেখ করে নিজেই অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে পারবেন এবং সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। এছাড়া জেলা প্রশাসকের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাতের সুযোগও এই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে করতে পারবেন।

মাগুরা জেলা প্রশাসন জানায়, সাধারণ মানুষকে ডিজিটাল সেবার আওতায় এনে সময় ও অর্থের অপচয় রোধে ডিজিটাল অ্যাপয়েন্টমেন্ট, কমপ্লেইন ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড কুইক সার্ভিস ডেলিভারি ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এখান থেকে যে কেউ ডিজিটাল এই পয়েন্টে থাকা কিয়স্ক মেশিনে মোবাইল ফোন নম্বর দিলে সেবা ওপেন হবে। এরপর নাগরিক তার কাঙ্ক্ষিত সেবাটি নির্বাচন করে প্রিন্ট বাটনে ক্লিক করলে একটি টোকেন পাবেন।

টোকেন নম্বর অনুযায়ী স্থাপিত চারটি কাউন্টারের মধ্যে একটিতে তার সেবাটি নির্ধারিত হবে। এরপর সেবাগ্রহীতা তার কাঙ্ক্ষিত সেবা পাবেন। সঙ্গে সঙ্গেই তার মোবাইলে এসএমএস যাবে। জেলা প্রশাসকসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাক্ষাৎ পেতেও এই সার্ভিস ব্যবহার করা যাবে। জেলা প্রশাসকের সাক্ষাৎ পেতে এই সিস্টেমের মাধ্যমে আবেদন করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাৎক্ষণিক সেটি জেলা প্রশাসকের সামনে থাকা স্ক্রিনে ভেসে উঠবে। জেলা প্রশাসক তা দেখে তাকে সময় দেবেন। সেটির তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে সাক্ষাৎপ্রত্যাশীর মোবাইল ফোনে চলে যাবে।

মাগুরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নিচ তলায় এই সেবার জন্য আলাদা রুম স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে সেবাপ্রত্যাশীদের জন্য বসার ব্যবস্থা, খাবার পানির ব্যবস্থা, টয়লেট সুবিধা আছে। এছাড়া সেখানে বঙ্গবন্ধু কর্নার স্থাপন করা হয়েছে।    

মাগুরা জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, মানুষ সেবা নিতে এলে তার সামনে একটি কিউ মেশিন থাকবে। সেখানে তার মোবাইল নম্বর এন্ট্রি করে সিরিয়াল অনুযায়ী সেবা প্রদানে অফিস সহকারী নিয়োজিত থাকবেন। তিনি যদি সাক্ষাতের জন্য আসেন, এই সফটওয়ারে এন্ট্রি দিলে আমি এখানে আমার রুমে বসে দেখতে পারবো কয়জন আমার সাক্ষাৎ চান। আমি তাদের সুবিধাজনক সময় সময় আমার এখান থেকে দিলে সেটির তথ্য তাদের মোবাইলে চলে যাবে।

তিনি আরও বলেন, এটির সুবিধা হল আমার কাছে আসতে তাকে কোনও মাধ্যমের আশ্রয় কিংবা তদবির করতে হবে না। আমার জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। বরং আমি তার কাছে দায়বদ্ধ হয়ে যাচ্ছি সাক্ষাৎ তাকে দিতে। আমি তাকে রিপ্লাই করতে বাধ্য। এটি একটি অনেক বড় ট্রান্সফরমেশন। এটি আমরা মাগুরায় শুরু করেছি। প্রতিদিনই ৫০-৬০ জন মানুষ সাক্ষাতের জন্য আসে। এটি একটি পাইলট সেবা। আমরা ভবিষ্যতে চেষ্টা করবো এই সফটওয়্যার কিভাবে ডেভেলপ করা যায়।

Source link

Related posts

যৌতুকের দাবিতে পুত্রবধূকে পানিতে চুবিয়ে হত্যাচেষ্টা

News Desk

বিএসএফকে মিষ্টি দিলো বিজিবি

News Desk

নোয়াখালীতে এখনও ২০ লাখ মানুষ পানিবন্দি, ৩ জনের মৃত্যু

News Desk

Leave a Comment