এক ইউনিয়নের ৩০টি ইটভাটায় পাহাড় সাবাড়, পরিবেশ অধিদফতর ‘অসহায়’। গেল ৩০ সেপ্টেম্বর এ শিরোনামে বাংলা ট্রিবিউনে সংবাদ প্রকাশের পর তদন্তে নামে পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রাম ও বান্দরবানের একটি তদন্ত দল। তারা ফাইতংয়ের ৩০টি ইটভাটা সরেজমিনে তদন্ত করে পাহাড় কাটার সত্যতা পেয়ে সবগুলোর বিরুদ্ধে এনফোর্সমেন্ট মামলা করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বান্দরবান পরিবেশ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক ফখর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘আমরা প্রত্যেকটি ইটভাটার বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছি। তবে এখনও তাদের জরিমানা করা হয়নি। পাহাড় কাটার পরিমাণ নির্ণয় করে শিগগিরই তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করা হবে।’
এর আগে পাহাড় কাটার সংবাদ পেয়ে এসব ইটভাটা পরিদর্শন করে বাংলা ট্রিবিউনের বান্দরবান প্রতিনিধি। এ সময় দেখা যায়, বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাইতং ইউনিয়নের ফাইতং এলাকায় স্কেভেটর দিয়ে পাহাড়ের ৫০ একর কেটে সাবাড় করে ফেলা হয়েছে। সুউচ্চ পাহাড়টির অধিকাংশই সমতলভূমিতে পরিণত হয়েছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ। এই পাহাড়ের মাটি নেওয়া হয় ওই ইউনিয়নের অন্তত ৩০টি ইটভাটায়। এ ছাড়া আশপাশের পাহাড়গুলো কাটা হচ্ছে দেদারসে।
এ নিয়ে পদক্ষেপের বিষয়ে জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদফতরের কর্মকর্তারা বলেন, ‘পাহাড় কাটায় জড়িতরা অনেক প্রভাবশালী। তাদের কাছে আমরা অসহায়।’