Image default
বাংলাদেশ

সুনামগঞ্জে বৃদ্ধি পাচ্ছে নদ-নদীর পানি

বৃষ্টি ও উজান থেকে নামা ঢলের কারণে সুনামগঞ্জের নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে সুরমা, যাদুকাটা, খাসিয়ামারা বৌলাই, রক্তি, চেলা মরা সুরমা ও যাদুকাটা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চলের বেশ কয়েকটি সড়ক।

এদিকে তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়কের একশো মিটার এলাকা ঢলের পানিতে নিমজ্জিত হয়ে যাওয়ায় তাহিরপুরের সঙ্গে সুনামগঞ্জের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। পানিতে নিমজ্জিত সড়কে বেশকিছু সিএনজিচালিত অটোরিকশা, পিকআপ, ট্রাক ও লেগুনা আটকা পড়েছে। জেলার সীমান্তবর্তী সুনামগঞ্জ সদর, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর ও দোয়ারাবাজার উপজেলার নিচু এলাকার সড়ক ডুবে গেছে। ডুবন্ত সড়ক দিয়ে লোকজন নৌকায় চলাচল করছেন।

সুনামগঞ্জ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘হাওর ও নদীর পানি প্রবাহ যাতে বাধাগ্রস্ত না হয় সেজন্য জেলার বিভিন্ন এলাকায় ডুবন্ত সড়ক নির্মাণ করেছে সরকার। এসব সড়ক বছরের ছয় মাস পানিতে নিমজ্জিত অবস্থায় থাকে আবার শুষ্ক মওসুমে চলাচলের উপযোগী হয়ে ওঠবে। অল ওয়েদার সড়ক তৈরি করা হলে হাওরের পানি প্রবাহ নষ্ট হয়ে ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি করবে।’ 

তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল বলেন, ‘বর্ষাকালে হাওর এলাকার মানুষ নৌকা দিয়ে চলাচল করতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন। তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, জামালগঞ্জ ও মধ্যনগরসহ বেশ কয়েকটি উপজেলার মানুষ জেলা সদর থেকে উপজেলা শহরসহ বিভিন্ন হাটবাজারে নৌকা দিয়ে যাতায়াত করেন। এটা হাওরাঞ্চলের শত বছরের ঐতিহ্য।’

সুনামগঞ্জে বৃদ্ধি পাচ্ছে নদ-নদীর পানি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, ‘এখন বন্যার কোনও সম্ভাবনা নেই। ভারী বৃষ্টি হলে উজানের ঢল নামবে আবার চলে যাবে। জেলার সকল নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃষ্টি কমে গেলে পানি নেমে যাবে।’

এর আগে ১২ জুন ও জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে পাহাড়ি ঢলে পানি বৃদ্ধি পেয়েছিল। 

Source link

Related posts

চিরকুটে লিখা ছিল ‘কেউ দায়ী নয়’ 

News Desk

প্রাথমিক ছাড়া সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে ২২ ফেব্রুয়ারি

News Desk

চট্টগ্রাম কারাগারে হৃদরোগে আসামির মৃত্যু

News Desk

Leave a Comment