কুমিল্লার দেবিদ্বার পৌরসভা নির্বাচনে সাংবাদিক পরিচয়ে কার্ড নিয়ে ঘুরছেন ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতারা।
সোমবার সকালে ভোট শুরুর পর সুজাত আলী সরকারি কলেজ কেন্দ্রে দেখা যায়, কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা বিল্লাল হোসেন সাংবাদিকের কার্ড গলায় নিয়ে ঘুরছেন। এ সময় তার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন আরেক স্থানীয় যুবলীগ নেতা ফাহাদ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ফাহাদ স্থানীয় যুবলীগ নেতা। তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আবু তাহেরের ছেলে। বিল্লাল হোসেন ছোট আলমপুর এলাকার বাসিন্দা এবং স্থানীয় সুজাত আলী কলেজের ছাত্রলীগের সভাপতি। নির্বাচনে কর্তত্ব স্থাপনের জন্যই তারা ছাত্রলীগ নেতা হয়েও সাংবাদিকের কার্ড ব্যবহার করছেন।
সরেজমিন দেখা গেছে, এসব ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাদের গলায় জড়ানো কার্ডে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের সিল রয়েছে। এ ছাড়াও জেলা নির্বাচন অফিসারের সইও আছে। তবে এসব কার্ডে প্রতিষ্ঠানের নাম স্পষ্ট নয়।
দেবিদ্বারের স্থানীয় সাংবাদিক, দেবিদ্বার উপজেলা ও জেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিল্লাল ও ফাহাদ স্থানীয় বা জাতীয় কোনও পত্রিকায় পত্রিকায় কাজ করেন বলে তারা কেউই জানেন না। তারা সরকারদলীয় রাজনৈতিক দলের অঙ্গ-সংগঠনের নেতা।
কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাইয়িদ মাহমুদ পারভেজ বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন গণহারে কার্ড দিচ্ছে। না হলে দলের লোকরা কী করে সাংবাদিকের কার্ড পায়। শুধু নির্বাচনের সময়ে তারা কার্ড নেয়। এতে সাংবাদিকদেরও প্রশ্নবিদ্ধ হতে হয়। নির্বাচন কমিশন যাছাই-বাছাই ছাড়াই কার্ড দিচ্ছে। অথচ প্রকৃত সাংবাদিকদের হয়রানির শিকার হতে হয়। আমরা এসবের তীব্র নিন্দা জানাই।’
জেলার অতিরিক্ত নির্বাচন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘নির্বাচনের কার্ড আমরা সাংবাদিকদেরই দিয়েছি। এর বাইরে কারা নিয়েছে জানি না। তথ্য পেলে ব্যবস্থা নেবো।’
