Image default
বাংলাদেশ

লকডাউন শিথিলে সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ব্যবসা-বাণিজ্য ও কোরবানি নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে আট দিনের জন্য লকডাউন শিথিল করেছে সরকার। তবে এই সময়ে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে সংক্রমণের হার বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। যদি সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে, সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলেও আশার প্রকাশ করেন তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কোভিড-১৯ আইসিইউ সম্প্রসারণ এবং ওপিডি শেড উদ্বোধনকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, ‘ঈদের যে আনন্দ, সে আনন্দ মানুষ করতে পারবে না। আমরা এমনভাবে যাতে ঘোরাফেরা না করি, ঈদের আনন্দ যেন দুঃখে বা ট্র্যাজেডিতে পরিণত না হয়ে যায়। সংক্রমিত হয়ে মানুষ মারা গেলে ঈদ আর ঈদ থাকবে না, তখন আমাদের মাতম করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের করোনাভাইরাস প্রায় সব বিভাগে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী। কিছু কিছু বিভাগে স্থিতিশীল আছে, কিছু কিছু বিভাগে ঊর্ধ্বমুখী। আমাদের দেশে ১৫ হাজার বেড রয়েছে, এর মধ্যে ৭৫ শতাংশ বেডে রোগী আছে। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণের হার কমাতে হবে। সংক্রমণের হার কমাতে হলে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। সংক্রমণের হার কমলে রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকবে, স্বাস্থ্যসেবায় বিরাট চাপ পড়বে। আমাদের অর্থনীতি বিপর্যস্ত হবে। মানুষের জীবন বিপর্যস্ত হবে। বিভিন্ন খাতে এর প্রভাব পড়বে। যেসব কারণে সংক্রমণ বাড়ে, আপনাদের অনুরোধ করবো সেসব কারণ আপনারা বুঝে চলবেন।’

গ্রামের মানুষকে চিকিৎসা দেওয়া ও তাড়াতাড়ি হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ‘ইউনিয়ন পর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি যাবেন, দেখবেন কোন কোন লোকজন অসুস্থ হয়েছেন। প্রাথমিক পর্যায়ে টেম্পারেচার ও অক্সিজেন লেভেল মাপবেন। প্রয়োজনে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেবেন। এর মাধ্যমে রোগীর সংখ্যা ও মৃত্যুর হার কমবে বলে আমরা মনে করি। স্টক থেকে ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়েছে। আমরা আরও ভ্যাকসিন পাব। ভ্যাকসিন নিতে যদি সমস্যা হয়, গ্রামের মানুষদের যদি নিবন্ধন করতে কষ্ট হয় তাহলে জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়েও আমরা ভ্যাকসিন দেওয়া চেষ্টা করবো— এটা পরের বিষয়।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘খুলনা এবং রাজশাহী বিভাগে সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়ে গিয়েছিল। আশার কথা হলো, এখন কিছু কিছু জেলায় সংক্রমণ কমেছে। খুলনাতেও মৃত্যুর হার কমেছে। অর্থাৎ লকডাউনের সুফল আমরা পেয়েছি। আমরা সব সময় মানুষকে সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। ঢাকা মেডিকেল কলেজে আইসিইউ মাত্র ২০টি ছিল, আমরা সেটিকে ৩০ এ উন্নীত করেছি। আমরা ১০টি আইসিইউ চালু করলাম। আমরা লক্ষ করেছি, এবার সংক্রমণ গ্রামে-গঞ্জে বেশি, শহরে কম। গ্রামের মানুষ মনে করে, সাধারণ সর্দি-কাশি যে কারণে চিকিৎসা নিতে দেরি করে। যারা বয়স্ক আছেন তারা বেশি মারা যাচ্ছেন। আমরা ফিল্ড হাসপাতাল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

Related posts

ঝিনাইদহে দুই দিবসে ২ কোটি টাকার ফুল বিক্রির আশা

News Desk

৪৫০ টাকার জন্য ভ্যানচালক মিজানকে হত্যা: পুলিশ 

News Desk

ধানক্ষেতে দুই কৃষকের কীটনাশক পান: আরও একজনের মৃত্যু

News Desk

Leave a Comment