ফরিদপুরের সালথা সদরের কাছেই ফুকরাবাজার। বিভিন্ন ধরনের প্রায় ১০০ ব্যবসায়ীর রুটি-রুজির একমাত্র কেন্দ্রস্থল এখানে।

nagad-300-250
গত বছরের ৫ এপ্রিল লকডাউন চলাকালে এ বাজার থেকেই তৎকালীন সালথা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হীরা মনিসহ সঙ্গে থাকা আনসারের আঘাতে এক ব্যবসায়ী আহত হন।

এতে প্রশাসনের ওপর ক্ষিপ্ত হয় ব্যবসায়ী ও স্থানীয় জনতা। পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য সেখানে পৌঁছানো মাত্রই হামলায় আহত হন সালথা থানার এসআই মিজানুর রহমান।

পরে গুজব ছড়িয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে কয়েক হাজার মানুষ নিয়ে উপজেলা চত্বরে দেশীয় অস্ত্র ঢাল-কাতরা ও লাঠিসোটা নিয়ে প্রবেশ করে বিভিন্ন সরকারি দপ্তর এবং থানায় সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত তাণ্ডব চালায় ব্যবসায়ী ও আমজনতা।

সম্পূর্ণ পুড়িয়ে দেওয়া হয় দুটি সরকারি গাড়ি। সালথার ইতিহাসে এমন ভয়াবহ তাণ্ডব আর কখনো হয়নি। তাণ্ডবের ঘটনায় জুবায়ের হোসেন (২০) ও মিরান মোল্যা (৩৫) নামে দুই যুবক নিহত হন।

পরে পরিস্থিতি শান্ত রাখার জন্য প্রশাসন পুরো ফুকরাবাজারটি বন্ধ করে দেয়। এতে বাজারের ব্যবসায়ীরা চরম বিপাকে পড়েন। প্রায় দেড় বছর পর দোকান খোলার অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন।

ব্যবসায়ীরা জানান, দোকান বন্ধ থাকায় দোকানের সব মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে। অনেকেই দোকানঘর ভাড়া ছেড়ে দিয়েছেন। যে কারণে ফুকরাবাজারের প্রাণ ফিরে পেতে সময় লাগবে। দীর্ঘদিন পর হলেও বাজারটি খুলে দেওয়ায় প্রশাসনকে ধন্যবান জানান ব্যবসায়ীরা।

সোনাপুর ইউপি চেয়ারম্যান খায়রুজ্জামান বাবু মোল্যা বলেন, প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর সালথা থানাপুলিশ প্রশাসনের অনুমতিক্রমে শনিবার থেকে ফুকরাবাজারের দোকানপাট খোলা হয়েছে। বাজারের ব্যবসায়ীরা এখন নিয়মিত দোকান খুলবেন।

সালথা থানার ওসি শেখ সাদিক বলেন, ফুকরাবাজার ব্যবসায়ীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মুচলেকা নিয়ে দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে এ ধরনের সহিংস কর্মকাণ্ড যাতে বাজার থেকে আর কোনো দিন না হয়, সে ব্যাপারে বাজারের ব্যবসায়ীদের কড়াভাবে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।

Related posts

দেশজুড়ে ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ৮৫ ডেঙ্গু রোগী

News Desk

কক্সবাজারে ও নীলফামারী বন্যার শঙ্কা

News Desk

নোয়াখালীর সেই ফারুককে অটোরিকশা উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী

News Desk

Leave a Comment