করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দেশে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে লকডাউন দেয় সরকার। তবে আটকে পরা প্রবাসীদের চলাচলের কথা চিন্তা করে বিশেষ ফ্লাইট চালু করা হয়েছে। আগামীকাল শনিবার (১৭ এপ্রিল) থেকে পাঁচ দেশে চলবে এই বিশেষ ফ্লাইট।
১. সরকার বলছে এই ৫টি দেশে গমনেচ্ছু প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীদের মধ্যে যাদের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ইস্যু করা বিএমইটি ক্লিয়ারেন্স রয়েছে, তাদেরকে বিদেশ গমনে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
২. এসব দেশের ক্ষেত্রে যাদের ভিজিট ভিসা আছে, কিন্তু বিএমইটি ক্লিয়ারেন্স নেই, তারা বিদেশ গমনে অগ্রাধিকার পাবেন না।
৩. ভিজিট ভিসা নিয়ে যেসব বাংলাদেশি কাজের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাত যাবেন, তারা বিএমইটি’র ছাড়পত্র নিয়ে যেতে পারবেন।
৪. এই ৫টি দেশে বা ট্রানজিট যাত্রীরা এয়ারপোর্টে আসার পথে পাসপোর্ট/ভ্যালিড ভিসা/বিমানের টিকিট/বিএমইটি কার্ড অথবা নিরাপত্তা এজেন্সি কর্তৃক ইস্যু করা পাস সঙ্গে রাখবেন।
৫. যারা ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম হতে ভ্রমণ করার জন্য টিকেট কিনেছেন, তাদেরকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কানেকটিং ফ্লাইটের মাধ্যমে ঢাকায় আনা যাবে।
৬. বিগত তিন দিন ধরে যেসব যাত্রী টিকেট কেনা সত্ত্বেও লকডাউনের কারণে বিদেশ যেতে পারেননি, তাদেরকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বা সংশ্লিষ্ট দেশসমূহের ন্যাশনাল ক্যারিয়ারের অতিরিক্ত বিশেষ ফ্লাইটের মাধ্যমে বিদেশে প্রেরণ করার ব্যবস্থা করা হবে।
বাংলাদেশে যারা ফেরত আসবেন তাদের যা করতে হবে:
১. প্রবাসী বাংলাদেশিরা জরুরি প্রয়োজনে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের শর্তে দেশে আসতে পারবেন।
২. প্রত্যেক যাত্রীকে কোভিড নেগেটিভ সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলকভাবে প্রদর্শন করতে হবে।
৩. বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনগুলো দেশে ফিরতে ইচ্ছুক প্রবাসী কর্মীদের তালিকা প্রস্তুত করবে।
৪. বিদেশ থেকে ফেরত যাত্রীদের ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন নিশ্চিতের জন্য সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ দিয়াবাড়ি, চট্টগ্রাম ও সিলেটে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিয়ে রাখবে।
৫. পাঁচটি দেশ থেকে যেসব যাত্রী দেশে আসবেন, তারা বোর্ডিং এর পূর্বেই কোয়ারেন্টিনের জন্য নির্দিষ্ট হোটেলে বুকিং নিশ্চিত করবেন।