সড়ক আটকে ভটভটি, অটোভ্যান ও ট্রাক চলাচল বন্ধ রেখে চলছে রমরমা মাছের ব্যবসা। বেচাকেনার সময় কোনও যানবাহন চলাচল করতে না পারায় সৃষ্টি হচ্ছে জনদুর্ভোগ। এ ছাড়া মাছের পানি পড়ে অনবরত সড়কগুলো নোংরা হয়ে থাকছে। যান চলাচলের সময় ভেজা সড়ক নষ্ট হয়ে খোয়া বেরিয়ে পড়েছে।
সচেতন মহলের দাবি, দ্রুততম সময়ের মধ্যে সড়কের ওপর মাছের ব্যবসা বন্ধ করতে হবে। তা না হলে যান চলাচল ব্যাহত হওয়ার ছাড়াও কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত আঞ্চলিক ও গ্রামীণ সড়কগুলো খানাখন্দে ভরে যাবে। এতে বাড়বে দুর্ঘটনার ঝুঁকি।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, বাগেরহাটের মোংলা পৌর শহরের অন্যতম ব্যস্ততম সড়ক তাজমহল রোডের দু পাশ আটকে ভোর থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ট্রাক, অটোভ্যান ও ভটভটি রেখে মাছ বিক্রি করা হচ্ছে। এ ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি স্থানে সড়কের ওপরে ভটভটি ও ছোট ট্রাক রেখে মাছে দেওয়া বরফ বিক্রি করা হচ্ছে।
ভুক্তভোগী অটোভ্যান চালক ওয়াহিদ গাজি, সোবহান মল্লিক ও নাসির উদ্দিন বলেন, ‘প্রতিদিন ১৫-২০ বার এই সড়ক দিয়ে আমাদের যেতে হয়। কিন্তু সড়কের দু পাশে মাছের ব্যবসা করায় যানজটে আমাদের সময়ের অপচয় সৃষ্টি হচ্ছে। মাছের গাড়িতে মাছ উঠানো পর্যন্ত সড়কে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। মাছ দেওয়া শেষ হলে আমরা চলাচল করতে পারি। এতে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়।’
পথচারী মোংলা সরকারি কলেজের শিক্ষক মণিমোহন অধিকারী জানান, তার মতোন অনেকেরই চলাফেলায় প্রতিনিয়ত দুর্ভোগে পড়তে হয়। রাস্তা আটকে দু পাশে মাছের ব্যবসার কারণে এই দুর্ভোগ। অবিলম্বে মাছের ব্যবসা পৌর শহরের ফাঁকা স্থানে নিয়ে গেলে ভোগান্তি থেকে তারা পরিত্রাণ পাবেন।
সড়ক আটকে মাছের ব্যবসার কারণে জনদুর্ভোগ হচ্ছে স্বীকার করে মাছ ব্যবসায়ী বাবু মোল্লা ও রুবেল হোসেন বলেন, ‘রাস্তার দু পাশে মাছের আড়ত থাকায় এই সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। কী করার আছে বলেন? পৌর কর্তৃপক্ষ এই সড়কটির (তাজমহল রোড) দু পাশ আরও বড় করলে এই সমস্যা থাকবে না।’
এ বিষয়ে মোংলা উপজেলার এসিল্যান্ড ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘এ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করাসহ ৫০-এর বেশি ব্যক্তিকে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতেও সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। এ জন্য মাছ ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করে বিকল্প কোন জায়গা দেওয়া হবে, সেটি নির্ধারণ করা হবে।’