দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর যশোর-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের নেতৃত্বে নৌকা প্রতীক নিয়ে শহরে বিশাল প্রচার মিছিল হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকালে যশোর সদরের বিভিন্ন ইউনিয়ন, পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে দলের নেতাকর্মীরা ঢোল, ভুভুজেলা, মোটরসাইকেল নিয়ে প্রচার মিছিলে অংশ নেন। বিশাল এই প্রচার মিছিলটি শহরের টাউন হল মাঠ থেকে বের হয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
বিকাল ৩টায় যশোর শহরের ঐতিহ্যবাহী টাউন হল মাঠ থেকে সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের পক্ষে নির্বাচনি প্রতীক নিয়ে প্রচার মিছিল বের করার আগেই ঘোষণা দেওয়া হয় আগেই। সেই অনুযায়ী দলের বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে নেতাকর্মীরা ব্যান্ডপার্টিসহ ছোট ছোট মিছিল সহকারে টাউন হল মাঠে সমবেত হতে থাকেন। একই সঙ্গে দলের নেতাকর্মীরা টাউন হল মাঠের রওশন আলী মঞ্চে দাঁড়িয়ে জননেতা কাজী নাবিল আহমেদকে তৃতীয়বারের মতো দলীয় প্রতীক নৌকা প্রদান করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। কাজী নাবিল আহমেদকে তৃতীয়বারের মতো যশোর সদরের সংসদ সদস্য নির্বাচিত করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বক্তব্য দেন তারা।
বিকাল ৫টার দিকে মঞ্চে উপস্থিত হন সংসদ সদস্য এবং এই আসন থেকে নৌকার প্রার্থী কাজী নাবিল আহমেদ ও তার স্ত্রী ডা. মালিহা মান্নান আহমেদ। টাউন হল মাঠের বিশাল জনস্রোতে দাঁড়িয়ে কাজী নাবিল বলেন, ‘আপনাদের ভালোবাসা আর দোয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে আবারও নৌকা দিয়ে আপনাদের কাছে পাঠিয়েছেন। আমি যেন আপনাদের হয়ে জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করতে পারি।’
তিনি সবার প্রতি অনুরোধ রেখে বলেন, ‘আমাদের জেলা কমিটি, উপজেলা কমিটি, পৌর কমিটি, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটির সব নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবো। একসঙ্গে কাজ করলে সদর আসনসহ যশোরের ছয়টি আসনে নৌকার প্রার্থীকে জয়যুক্ত করতে পারবো ইনশাল্লাহ।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্ধৃতি দিয়ে কাজী নাবিল বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের সবাইকে বলেছেন, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। নির্বাচনে সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ থাকবে। উৎসাহ ও উদ্দীপনার মাধ্যমে আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে যাচ্ছে।’
শেখ হাসিনার শাসন আমলে দেশের প্রভূত উন্নয়ন কর্মকাণ্ড হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমার সৌভাগ্য, গত দশ বছর আমি যশোর সদর আসনে আপনাদের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরেছি। এই সময়কালে জননেত্রী শেখ হাসিনা যশোরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল কলেজ, শেখ হাসিনা সফটওয়্যার আইটি পার্ক, দুই শ’র বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন সংস্কার ও নতুন ভবন করে দিয়েছেন। মহাসড়কগুলো সংস্কার করে দিয়েছেন। সবচেয়ে বড় কথা, যশোরসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি, আমাদের স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণ করে দিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘সারা বাংলাদেশের যে উন্নয়ন কাজ হয়েছে, তারই ধারাবাহিকতায় বিশ্বে এই দেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।’
তিনি দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আর মাত্র ২০ দিন। আমরা ছোটখাটো সব ভেদাভেদ, অনৈক্য ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করি। আমাদের সবারই মার্কা কিন্তু নৌকা, তাই নৌকার পক্ষে কাজ করে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আনি।’
এ সময় অন্যদের মধ্যে যশোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, জেলা যুবলীগের সভাপতি মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা মেহেদি হাসান মিন্টু, যুবনেতা সৈয়দ মেহেদি হাসান, ছাত্রলীগের সাবেক সেক্রেটারি আনোয়ার হোসেন বিপুল, মহিলা লীগের সভাপতি লাই্জু জামান, যুবলীগ নেতা অশোক বোস, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাঈদ সরদার প্রমুখ বক্তব্য দেন।
মিছিলে অংশ নেন– জেলা আওয়ামী লীগের নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম খয়রাত হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আব্দুস সবুর হেলাল, আওয়ামী লীগ নেতা খায়রুজ্জামান রয়েল, ফরিদ আহমেদ কচি, সুখেন মজুমদার, শ্রমিক লীগের সভাপতি জবেদ আলী, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন, যুব মহিলা লীগের সভাপতি মঞ্জুন্নাহার নাজনীন সোনালীসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী।