যশোরে নতুন করে আরও ২৯১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে যা একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। আক্রান্তদের মধ্যে নয়জন ভারত ফেরত। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের এই রেকর্ড হয়। এর আগে গত ১৫ জুন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৪৯ জন।
করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় যশোরে আরও একটি ডেডিকেটেড হাসপাতাল প্রস্তুত করা হচ্ছে বেসরকারি সংস্থা সাজেদা ফাউন্ডেশনের সহায়তায়। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৪ জন। উচ্চ ঝুঁকির কারণে যশোরের পাঁচ পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়নে লকডাউন সম্প্রসারণ করা হয়েছে। তবে লকডাউন কার্যকরভাবে মানছে না সাধারণ মানুষ। অবশ্য প্রশাসন বলছে, লকডাউন কার্যকর করতে আরও কঠোরতা আরোপ করা হবে।
যশোর সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. শাহনেওয়াজ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ৬০৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৯১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৪৭ শতাংশ। তিনি বলেন, এ সময়ে মারা গেছেন চারজন। এদের মধ্যে দুজন করোনা রোগী এবং অপর দুজন করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১০৮ জন।
যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মো. সায়েমুজ্জামান বলেন, করোনার শনাক্তের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় আরও একটি ৫০ শয্যার করোনা ডেডিকেটেড হসপিটাল প্রস্তুত করা হয়েছে। সদর হাসপাতালে করোনা রোগীর চাপ বৃদ্ধি পেলে সেখানে স্থানান্তর শুরু করা হবে।
তিনি বলেন, এজন্য বেছে নেওয়া হয়েছে বেসরকারি জনতা হসপিটালকে। এ কাজে প্রয়োজনীয় জনবল, ওষুধ ও যন্ত্রপাতি দিয়ে সহযোগিতা করছে ঢাকার কেরানীগঞ্জের সাজেদা ফাউন্ডেশন।