যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। সোমবার (২০ জুন) বিকাল ৫টায় বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ২১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৪৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এতে ইসলামপুর ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সাত ইউনিয়নসহ জেলার অন্যান্য উপজেলার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। পানি বেড়ে যাওয়ায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এতে করে বাড়ছে মানুষের দুর্ভোগ।
জেলার ত্রাণ ও পুনর্বাসণ কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন বলেন, দেওয়ানগঞ্জ ও ইসলামপুর উপজেলায় দুটি আশ্রয়কেন্দ্রে ৩৮১১ বানভাসি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। এই দুই উপজেলায় বন্যার্ত মানুষের মধ্যে চার টন চাল ও এক লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার দেওয়ানগঞ্জ, ইসলামপুর, মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, সরিষাবাড়ী, বকশিগঞ্জ ও জামালপুর সদরের বেশিরভাগ এলাকা পানিতে তলিয়েছে। বন্যা কবলিতদের জন্য সাত উপজেলায় ৫০ মেট্রিকটর মোট ৩৫০ মেট্রিকটন চাল, নগদ সাত লাখ টাকা এবং চার হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে বন্যার পানিতে ডুবেছে জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ১১২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। এরমধ্যে ৬৫টি প্রতিষ্ঠানের পাঠদান স্থগিত করা হয়েছে।
পানিতে জেলার ফসলেরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক জাকিয়া সুলতানা বলেন, পানি বাড়ায় জেলার ফসলের জমি তলিয়ে গেছে। এ পর্যন্ত ২৭৩৮ হেক্টর জমির ফসল বন্যার পানিতে ডুবেছে।
সার্বিক বিষয়ে জেলা প্রশাসক শ্রাবন্তী রায় বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে।