Image default
বাংলাদেশ

মৌলভীবাজারে ২০০ গ্রাম প্লাবিত, বন্যাদুর্গত লক্ষাধিক মানুষ  

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় বৃষ্টিপাত, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং কুশিয়ারা নদী ও হাকালুকি হাওরের পানি বেড়ে বড়লেখা পৌর এলাকা এবং ১০টি ইউনিয়নের ২০০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে জেলার এক লাখ ৬০ হাজার মানুষ বন্যাদুর্গত হয়ে পড়েছেন। জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে শনিবার (১৮ জুন) রাত ১২টায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অর্ণব মালাকার। 

এদিকে, বড়লেখা উপজেলার পাশাপাশি পাহাড়ধসে উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের আয়েশাবাগ চা বাগানে একজন নিহত ও সদর ইউনিয়নের কেছরিগুল গ্রামে একজন আহত হয়েছেন। বিদ্যুতের সাবস্টেশন ইতোমধ্যেই পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। 

কুলাউড়া উপজেলায় অতি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। নদ-নদীসহ হাকালুকি হাওরের পানি বেড়ে ভূকশিমইল, ভাটেরা, জয়চন্ডী, ব্রাহ্মণবাজার, কাদিপুর ও কুলাউড়া সদর ইউনিয়নের প্রায় সব এলাকা প্লাবিত হয়েছে।  

জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, কর্মধা ইউনিয়নের মহিষমারা গ্রামের ফানাই নদীর বাঁধ ভেঙে মহিষমারা, বাবনিয়া, হাশিমপুর, ভাতাইয়া ও পুরশাই গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসব গ্রামের দুই হাজার পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় আছে। গ্রামগুলোতে বিদ্যুৎ সংযোগ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। 

জুড়ী উপজেলায় গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে ২৮টি গ্রামের প্রায় ১৬ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এসব গ্রামের অধিকাংশ রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় চলাচলে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। এ পর্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ প্রায় ২৪টি পরিবারকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। 

এছাড়া জায়ফরনগর ইউনিয়নের গৌরীপুর ও সাগরনাল ইউনিয়নের কাশিনগর গোয়ালবাড়ি পশ্চিম শিলুয়া গ্রামে জুড়ী নদীর ভাঙন দেখা দিয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় বাঁধ মেরামত কাজ চলছে। 

এদিকে, সদর উপজেলায় ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে খলিলপুর, মনুমুখ, আখাইলকুড়া, কনকপুর, কামালপুর, চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এখানে বন্যাদুর্গত মানুষের সংখ্যা সাত হাজার ৫০০ জন।  
 
রাজনগর উপজেলায় ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে চার ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এখানে বন্যাদুর্গত মানুষের সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। 

শ্রীমঙ্গল উপজেলায় ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে ৫ ইউনিয়নের ১২টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এই ইউনিয়নে বন্যাদুর্গত মানুষের সংখ্যা চার হাজার। 
 
কমলগঞ্জ উপজেলায় বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ধলাই নদীর পাড় ভেঙে ৯টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে। 

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অর্ণব মালাকার বলেছেন, বন্যাদুর্গতদের সরকারি সহায়তা দেওয়া হবে। রবিবার থেকে বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে।

 

Source link

Related posts

লকডাউনের দেড় বছর পর দোকান খোলার অনুমতি পেলেন ব্যবসায়ীরা!

News Desk

শিমুলিয়া ফেরিঘাটে মোটরসাইকেলের চাপ

News Desk

আজ রোজা রেখেছেন শরীয়তপুরের ৫০ গ্রামের মানুষ

News Desk

Leave a Comment