টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে যৌতুকের দাবিতে দুই সন্তানের জননী প্রিয়াংকা কর্মকারকে (২৮) নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার রাতে মির্জাপুর পৌর এলাকার সরিষাদাইড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে গৃহবধূ বাবা জয়কৃষ্ণ সরকার আজ শনিবার থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। তার বাড়ি উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়নের সেহড়াতৈল গ্রামে।
নিহত গৃহবধূর বাবা জয়কৃষ্ণ ও লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, গত ৯ বছর আগে প্রিয়াংকার সাথে পৌর এলাকার সরিষাদাইড় গ্রামের সুধীর কর্মকারের ছেলে বুদ্ধু কর্মকারের (৩৬) বিয়ে হয়। তাদের দুটি সন্তান রয়েছে। বিয়ের কিছুদিন পার হতেই তার স্বামী যৌতুকের দাবিতে তাকে শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন শুরু করে। এ নিয়ে মাঝে মধ্যেই স্থানীয় ভাবে সালিশ বিচারও হয়েছে। নির্যাতনের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রিয়াংকার স্বামী বুদ্ধু কর্মকারের বিরুদ্ধে চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি মির্জাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন বলে প্রিয়াংকার বাবা জানান। গত ৬ অক্টোবর বিদেশ যাওয়ার জন্য তার মেয়ের কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করে। এতে তার মেয়ে অপরাগতা প্রকাশ করলে তাকে নির্যাতন করা হয়। খবর পেয়ে পরদিন সকালে স্ত্রী পুষ্পরানী মেয়ের (প্রিয়াংকা) বাড়িতে যান। এ সময় জামাইয়ের কাছে তার মেয়েকে নির্যাতনের কারণ জানতে চাইলে জামাই বুদ্ধু কর্মকার ক্ষিপ্ত হয়ে শ্বাশুড়ি পুষ্পরানীকেও মারতে উদ্যত হয়। এক পর্যায়ে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরে সন্ধ্যায় জামাই বাড়ির প্রতিবেশিদের মাধ্যমে খবর পাওয়া যায়, তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। প্রিয়াংকার বাড়ির লোকজন গিয়ে তাকে ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।
তার মেয়েকে শারীরিক নির্যাতনের পর হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বলে মেয়ের তিনি শনিবার থানায় লিখিত অভিযোগে দাবি করেছেন।
https://play.acast.com/s/6341bae71fa9290012f153cb
https://play.acast.com/s/6341bb93d8288d0011d5c8e6
https://play.acast.com/s/6341b31f669d660012e5996a
https://play.acast.com/s/6341b2bb4240260013dd1fb9
https://play.acast.com/s/6341aa2171b9dd0011027641
https://play.acast.com/s/6341aa66955f7f00126a58b5
https://play.acast.com/s/6341b17d669d660012e596de
https://play.acast.com/s/6341b2f45ea7f30012bccc06
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবু সালে মাসুদ করিম জানান, টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।