ময়মনসিংহ নগরীর চরপাড়া মোড় থেকে ১০০ মিটার পশ্চিমে শাহীন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে সড়কেই পড়ে রয়েছে ময়লা-আবর্জনা। সেখান দিয়ে নগরবাসী দুর্গন্ধ সহ্য করে চলাচল করছেন। এর পাশেই খালে নগরীর ময়লা-আবর্জনা জমে ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। এ ছাড়া শহরের বিভিন্ন স্থান যত্রতত্র ফেলে রাখা হয়েছে ময়লা। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ নগরবাসী।
চরপাড়ার বাসিন্দা শহীদ মিয়া জানান, নগরীর অলি গলি এবং প্রধান সড়কে দিনে রাতে ময়লা-আবর্জনা ফেলে রাখা হয়। এর পাশ দিয়ে নগরবাসীকে চলাচল করতে হয়। সিটি করপোরেশন পরিষ্কারে খুব একটা তৎপর না।
নগরীর মুন্সিবাড়ি এলাকার ব্যবসায়ী কামাল হোসেন জানান, ড্রেন এবং সড়কে দিনেরাতে ময়লা-আবর্জনা জমেই থাকে। এর ওপর বিভিন্ন সড়ক ভেঙে সিটি করপোরেশনের সংস্কার কাজ চলমান থাকায় রাস্তার পাশে দীর্ঘদিন পড়ে থাকে ময়লা। নগরীকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে সিটি করপোরেশনের তেমন একটা মনোযোগ চোখে পড়ে না। নোংরা ময়লা আর ধুলোবালিরর কারণে নগরীতে শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি।
ড্রেনসহ বিভিন্ন জায়গায় নোংরা পরিবেশের কারণে মশার উপদ্রব নগরবাসীকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। এ কারণে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডে সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) ৯৬ জন রোগী ভর্তি আছেন। চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে সাত রোগী মারা গেছেন।
হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডের ফোকাল পারসন ডাক্তার ফরহাদ হোসেন হিরা জানান, আগস্টের মাঝামাঝি ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমতে থাকলেও মাস শেষের দিকে আবারও বাড়ে। বিশেষ করে প্রথমদিকে ঢাকা গাজীপুরের থেকে আক্রান্তরা এসে হাসপাতালে ভর্তি হলেও বর্তমানে ময়মনসিংহ নগরীসহ আশপাশের এলাকার আক্রান্ত হয়ে রোগীরা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হচ্ছেন। ময়মনসিংহ নগরীতে মশার উপদ্রব কমাতে না পারলে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিনে দিনে আরও বাড়বে।
এদিকে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইউসুফ আলী বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, মশার উপদ্রব কমাতে নগরীতে ক্রাশ প্রোগ্রাম চলছে। তবে কোথাও যদি নোংরা ময়লা আবর্জনা পড়ে থাকে তা পরিষ্কারে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।