ভোলার দৌলতখানে তেল চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে অভিযানের সময় দক্ষিণাঞ্চলীয় কোস্টগার্ডের সদস্যদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। গত মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার চৌকিঘাটা এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে কোস্টগার্ডের চার সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনার এক দিন পর গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে দক্ষিণাঞ্চলীয় কোস্টগার্ডের কনস্টেবল ইব্রাহীম ইসলাম বাদী হয়ে দৌলতখান থানায় মামলা করেছেন।
দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকির হোসেন বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। মামলায় ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৬৫ থেকে ৬৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে ওসি জাকির হোসেন তদন্তের স্বার্থে আসামিদের নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি।
মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, মা ইলিশ সংরক্ষণে চলমান নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের জন্য মেঘনা নদীর তীর এলাকায় মঙ্গলবার রাতে দক্ষিণাঞ্চলীয় কোস্টগার্ডের সদস্যরা টহল দিচ্ছিলেন। রাত ১১টার দিকে কোস্টগার্ডের সদস্যরা চৌকিঘাটা এলাকায় গিয়ে দেখেন, চোরাই পথে মাঝনদী (মেঘনা) থেকে আসা ট্রলার থেকে ডাঙায় তেল নামানো হচ্ছে। এ সময় কোস্টগার্ড সদস্যরা ট্রলারে উঠে তেল জব্দ করেন এবং আরও ফোর্স পাঠানোর জন্য ক্যাম্পে কল করেন। একপর্যায়ে চোরাকারবারিরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে কোস্টগার্ড সদস্যদের মারধর করে তেল নিয়ে পালিয়ে যায়।
চোরাকারবারিদের মারধরে কোস্টগার্ডের চার সদস্য মাসুম পারভেজ, মিজানুর রহমান, আতিকুল ইসলাম ও মো. ইব্রাহীম খলিল গুরুতর আহত হন। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে দৌলতখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে তাঁদের উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় কোস্টগার্ডের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট শাফিউল কিঞ্জলের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।