Image default
বাংলাদেশ

ভাসানচর থেকে পালাচ্ছে রোহিঙ্গারা

নোয়াখালীর ভাসানচর থেকে দালালের হাত ধরে পালিয়ে আসছে রোহিঙ্গারা। এভাবে পালিয়ে আসার ২১ দিন পর ১০ রোহিঙ্গাকে কক্সবাজারের উখিয়ার মধুরছড়া এলাকা থেকে শনাক্ত করে ক্যাম্প ইনচার্জের কাছে হস্তান্তর করেছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আর্মড পুলিশ পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন-১৪)। পরে তাদের ট্রানজিট ক্যাম্পে পাঠানো হয়।

কক্সবাজার ১৪ এপিবিএনের কমান্ডার (পুলিশ সুপার) নাঈমুল হক বাংলানিউজকে জানান, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে নোয়াখালীর ভাসানচর থেকে কিছু রোহিঙ্গা পালিয়ে আসছে। এমন খবর পেয়ে এপিবিএন সদস্যরা তাদের বিষয়ে খোঁজখবর নিতে থাকেন। একপর্যায়ে স্থানীয় মাঝিদের সহায়তায় আর্মড পুলিশ সদস্যরা ক্যাম্পের অন্য রোহিঙ্গাদের ঘর থেকে এনায়েত উল্লাহ ও কেফায়েত উল্লাহকে আটক করেন। পরে তাদের পরিবারের অন্য সদস্য মোট ১০ জনকে আটক করা হয়। পুলিশ সুপার নাঈমুল হক জানান, গত ৮ মে নোয়াখালীর এক দালালের মাধ্যমে ১৫ হাজার টাকা চুক্তিতে ভাসানচর থেকে ট্রলারে করে নোয়াখালীর একটি জায়গায় এসে আশ্রয় নেয়। পরে সেখান থেকে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোপনে পালিয়ে এসে অবস্থান করছিল। ভাসানচরে যাওয়ার আগে তারা কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৩-এর ৯ নম্বর ব্লকের বাসিন্দা ছিল।

পুলিশ সুপার নাঈমুল হক জানান, শনিবার (২৯ মে) বিকেল ৫টার দিকে তাদেরকে ক্যাম্প ইনচার্জের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে তাদেরকে ট্রানজিট ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এর আগে গত ৩ মার্চ আটক এই রোহিঙ্গারা স্বেচ্ছায় কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে নোয়াখালীর ভাসানচরে গিয়েছিল। এপিবিএন জানায়, এর আগে গত ২৩ মে মো. আলমের মেয়ে ফাতেমা (১৮), আহমেদ হোছনের ছেলে মো. হানিফ প্রকাশ জোবায়ের (২২) আবুল কালামের মেয়ে শফিকা (১৮) অজ্ঞাতপরিচয় দালাল চক্রের মাধ্যমে পালিয়ে এসে উনচিপ্রাং ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়। জানা গেছে, ১ বছর আগে অবৈধ পথে মালেয়েশিয়া যাওয়ার সময় এরাসহ ৩০৬ রোহিঙ্গাকে সাগর থেকে উদ্ধার করে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়। তবে জানতে চাইলে কক্সবাজার অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মো. সামছু দ্দৌজা নয়ন এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হয়নি।

Related posts

চলন্ত ট্রেন থেকে ঘুমন্ত যাত্রী পড়ে পা বিচ্ছিন্ন

News Desk

গত এক সপ্তাহে বজ্রপাতে ৫৬ জনের মৃত্যু

News Desk

ড. কামালকে একহাত নিলেন ওবায়দুল কাদের

News Desk

Leave a Comment