হাসেম মিয়া আখাউড়া উপজেলার মসজিদপাড়া এলাকার বাসিন্দা ও বাংলাদেশ অ্যাম্বুলেন্স কল্যাণ মালিক সমিতির সহসাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি শহরের মুন্সেফপাড়ায় ভাড়া বাসায় থাকেন। অভিযুক্ত জহিরুল ইসলাম জেলা শহরের কাজীপাড়ার বাসিন্দা ও জেলা সৈনিক লীগ নামের একটি সংগঠনের সভাপতি।

বাংলাদেশ অ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যাণ সমিতি সূত্রে জানা গেছে, দুপুর ১২টার দিকে গুরুতর অসুস্থ এক রোগীকে ঢাকায় নেওয়ার জন্য ইসমাইল মিয়া নামের এক চালক হাসেমের অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে যান। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে গিয়ে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে রোগীর জন্য অপেক্ষা করেন ইসমাইল। সে সময় জহিরুল ইসলাম ওরফে জুম্মান সেখানে পৌঁছে চালক ইসমাইলকে গালিগালাজ করেন। বিষয়টি মালিক হাসেমকে জানান ইসমাইল। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হাসপাতালের প্রধান ফটকসংলগ্ন পুলিশ বক্স ও বটগাছের নিচে যান হাসেম। সে সময় জহিরুলের নির্দেশে তাঁর লোকজন অতর্কিত হামলা চালিয়ে হাসেমকে বেধড়ক মারধর করেন। এতে হাসেম বাঁ চোখের নিচে, মাথার পেছনে ও পিঠে আঘাত পান। সেখান থেকে কোনোরকমে রক্ষা পান তিনি। দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন তিনি। পরে অ্যাম্বুলেন্সচালক ও মালিকদের নিয়ে বিষয়টি সদর থানা-পুলিশকে জানান।

Related posts

সীতাকুণ্ডে আবারও বিস্ফোরণের আতঙ্কে বাড়ি ছাড়ছেন স্থানীয়রা 

News Desk

ভারতে হয়নি সুরাহা, টানা ৪ দিন বেনাপোলে আমদানি-রফতানি বন্ধ

News Desk

‘ত্রাণ নয়, একটা বেড়িবাঁধ চাই’

News Desk

Leave a Comment