আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘দুঃসময়ের কর্মীদের নিয়ে বৃহত্তর ঐক্য করতে হবে। আগামী নির্বাচনে আমাদের ঐক্য থাকলে- বিপুল ভোট পেয়ে আওয়ামী লীগ আবারও সরকার গঠন করবে ইনশাল্লাহ।’
বৃহস্পতিবার (৫ মে) বিকালে নোয়াখালীর কবিরহাটের হাজী ইদ্রিস চত্বরে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক পথসভায় তিনি এ কথা বলেন।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ হচ্ছে সংকটে এগিয়ে যাওয়ার দল। ষড়যন্ত্র, ঝড়, জলোচ্ছ্বাস, বন্যা যা কিছুই আসুক ষড়যন্ত্র-শত্রুতায় আওয়ামী লীগ এগিয়ে যায়। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অন্ধকারের পথ পাড়ি দেবে। আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করবে।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগে এখন অনেক অতিথি পাখি ভর করেছে। খারাপ সময় এলে শীতের অতিথি পাখিরা চলে যায়। তখন দুঃসময়ের কর্মীরাই থাকে। তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করুন।’
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘কবিরহাট উপজেলার মানুষের সঙ্গে আমার আত্মার সম্পর্ক রয়েছে। আমি কবিরহাটকে ভালোবাসি, কবিরহাট আমাকে ভালোবাসে। সে ভালোবাসার প্রমাণ অতীতের নির্বাচনগুলোতে আমি পেয়েছি। তিন বছর আমি আসতে পারিনি করোনা সংকটের কারণে। কিন্তু ভিডিও কনফারেন্স করে নেতাকর্মীদের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। করোনার সময় আমি এখানে অক্সিজেন মাস্ক পাঠিয়েছি, সেন্ট্রাল অক্সিজেনের ব্যবস্থা করেছি। বরাদ্দের চেয়ে বেশি চিকিৎসা সামগ্রী পাঠিয়েছি। এই সংকটে আমি আপনাদের সঙ্গে ছিলাম। কবিরহাট আমার হৃদয়ে, অন্তরে ও চেতনায়। কবিরহাটকে ভুলে গেলে আমার অস্তিত্বকে ভুলে যাওয়া হবে। কারণ এই কবিরহাটের মানুষই আমাকে প্রথম বেশি ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে। সে কথা আজ কেমন করে ভুলে যাবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার এলাকার মানুষ ভালো আছে। তাতেই আমি আনন্দিত। স্বার্থান্বেষী মহল যুদ্ধের অজুহাতে জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়েছে। আপনাদের সতর্ক থাকতে হবে। শেখ হাসিনার মতো সৎ ও পরিচ্ছন্ন নেতা যতদিন বাংলাদেশে আছে- ততদিন বাংলাদেশ পথ হারাবে না। আমরা সবাই মিলে এই বাংলার মাটিতে এগিয়ে যাবো। আগামী নির্বাচনের আগে আমার নির্বাচনি এলাকার বেকার তরুণদের জন্য ভালো কিছু করার চেষ্টা করবো।’
এর আগে, বৃহস্পতিবার দুপুরে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের নিজ বাড়িতে নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি।
উল্লেখ্য, নিজের অসুস্থতা এবং করোনা মহামারির কারণে গত ৩৩ মাস নিজ নির্বাচনি এলাকা নোয়াখালী-৫ আসনে (কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট) আসতে পারেননি মন্ত্রী। সর্বশেষ ২০১৯ সালের ১৩ আগস্ট তিনি ঈদুল আজহা উদযাপন করতে বাড়িতে এসেছিলেন।