বছরের পর বছর কাঁচা মরিচের ন্যায্য দাম পেলেও এবার বাম্পার ফলনে লাভের মুখ দেখছেন না মানিকগঞ্জের মরিচ চাষিরা। লক-ডাউনে পাইকার না আসা ও বিদেশে এলসি বন্ধ থাকায় এবার কাঙ্ক্ষিত দাম পাচ্ছেন না তারা। তাই ভরা মৌসুমে কাঁচামরিচ রফতানির দাবি কৃষকের। স্থানীয় কৃষি বিভাগ বলছেন, এখন মরিচ রফতানি করলে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাবে কৃষক।

মানিকগঞ্জের শিবালয়, হরিরামপুর, ঘিওর ও দৌলতপুর উপজেলার মরিচে ক্ষেতগুলোতে যতদূর চোখ যায় কেবলই সবুজের সমারোহ। মাঠজুড়ে সবুজের ফাঁকে ফাঁকে দোল খাচ্ছে পাকা লাল আর আধা পাকা হলুদ রঙের মরিচ। ভোর থেকেই মানিকগঞ্জ জেলার এসব উপজেলার জমিতে জমিতে শুরু হয় কৃষাণ-কৃষাণীসহ বিভিন্ন বয়সীদের গাছ থেকে বিন্দু জাতের মরিচ তোলার উৎসব। বাম্পার ফলন হলেও এ বার মধ্যপ্রাচ্যের কুয়েত,বাহরাইন ও মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে রফতানি বন্ধ। এছাড়াও দেশের দূর-দূরান্তের পাইকার না আসায় দাম অর্ধেকে নামায় উৎপাদন খরচ তুলতে হিমসিম খাচ্ছেন তারা। তাই রফতানির দাবি তাদের। মরিচ চাষিরা জানান, দাম কম থাকায় প্রচুর ফলন হলেও এবার মরিচে লাভ করতে পারছেন না তারা।

তারা বলেন, লকডাউনের সময় যেখানে মরিচের দাম ছিল ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি এখন সে দাম ১০ থেকে ১৫ টাকা। গাছ প্রতি এক থেকে দেড় কেজি মরিচের ফলন পাওয়া গেলেও শ্রম ও খরচের মূল্য পাচ্ছেন না এমন দাবি জেলার এসব মরিচ চাষিদের। স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তার মতে, ভরা মৌসুমে কাঁচামরিচ রপ্তানি করতে পারলে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাবে কৃষক। মনিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলার উ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কৃষ্ণনাথ মণ্ডল বলেন, এ জেলার মরিচ আগে মধ্যপ্রাচ্যে রফতানি হত। এখন মরিচ রফতানি বন্ধ রয়েছে। রফতানি আবার চালু হলে এখানকার চাষিরা উপকৃত হবে।

জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, মে থেকে জুলাই পর্যন্ত তিন মাস,মানিকগঞ্জের কাঁচামরিচের ভরা মৌসুম। জেলায় এবার ৪ হাজার হেক্টর জমিতে ৬ হাজার ৬শত ৫ মেট্রিকটন মরিচ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।

Related posts

টাঙ্গাইলে বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেলো ২ যুবকের

News Desk

নাইক্ষ্যংছড়িতে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত, আশংকা জনক অবস্থা

News Desk

৩ দিনেও বন্যাদুর্গতদের সংখ্যা জানতে পারেনি জেলা প্রশাসন

News Desk

Leave a Comment