রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) এক ছাত্রীর সঙ্গে এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্পর্কের কিছুদিন যাওয়ার পর ছেলেটির মধ্যে অসংগতি দেখতে পেয়ে মেয়েটি সম্পর্ক থেকে বের হয়ে যেতে চায়। কিন্তু ছেলেটি তাকে সম্পর্কে থাকার জন্য বাধ্য করতে চায়। পরে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংয়ে তার অবস্থা জানিয়ে সহযোগিতা চায়।
এতে পুলিশের সহায়তায় যুবকের হাত থেকে রক্ষা পান মেডিকেল কলেজের ওই ছাত্রী। শুক্রবার (১১ জুন) পুলিশ সদর দফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি- মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স) মো. সোহেল রানা এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, রামেকের ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে একসময় সেই যুবকের পরিচয় ও সম্পর্ক ছিল। কিন্তু কিছু দিনের মধ্যেই মেয়েটি যুবকের মধ্যে কিছু অসংগতি খেয়াল করে। এ সম্পর্কের কারণে পড়াশুনায় ব্যাঘাত হচ্ছিল তার। বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে ওই তরুণী সিদ্ধান্ত নেন সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার। কিন্তু ওই ছেলে তাকে সম্পর্কে থাকতে বাধ্য করছিল। একপর্যায়ে ওই মেয়ের নামে একাধিক ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে তাকে নাজেহাল করতে থাকে। আইনি সহযোগিতা চেয়ে বিভিন্ন জায়গায় আবেদন করে মেয়েটি। ফলে লোকটি আরও হিংস্র হয়ে ওঠে।
তিনি আরও বলেন, ভুক্তভোগী ওই তরুণী পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংয়ে তার বিপদের কথা জানিয়ে সহযোগিতা চান। তবে তিনি উল্লেখ করেন, কোনো প্রকার মামলায় জড়াতে চান না। বার্তা পেয়ে মিডিয়া উইং তাৎক্ষণিকভাবে মেয়েটির পাশে দাঁড়ায়। তাকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেয়। এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ওই যুবকের বর্তমান এলাকার থানা পুলিশকে নির্দেশনা দেয়া হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে, কুমিল্লা জেলার বরুড়া থানার ওসি মোহাম্মদ ইকবাল বাহার মজুমদার মেয়েটির সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হন। যুবকটির অভিভাবকদের উপস্থিতিতে স্থানীয় ব্যক্তিদের সহযোগিতায় তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা সহজ হয়।.
সূত্র : জাগো নিউস ২৪