জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, ‘আমাদের সবার দায়িত্ব- যে স্বপ্ন ও স্পিরিট নিয়ে এই অভ্যুত্থান হয়েছে সেটিকে রক্ষা করা। আমরা একদিকে যেমন সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করবো অপরদিকে প্রশাসনসহ সকল স্তরের সার্বিক কাজে সহযোগিতাও করবো। প্রশাসনের যারা হত্যাযজ্ঞের সঙ্গে জড়িত ছিল ভিডিও ফুটেজ ও ছবি দেখে তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।’
শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে ময়মনসিংহ নগরের টাউনহলের তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত হওয়া বিভাগের ৫৫ জনের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা করে আর্থিক অনুদানের টাকা বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। বিভাগে ৯২ জন নিহত হলেও যোগাযোগ ঘাটতির কারণে ৫৫ জনকে আজ অনুদান দেওয়া হয়।
সারজিস বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া নাকি এতিমের টাকা আত্মসাৎ করেছে। কত টাকা দুই কোটি টাকা। তার জন্য জেলে যেতে হয়েছে। শেখ হাসিনার দোসররা যদি আজ থেকে ২০ বছর পর ফিরে আসে তখন এমন করবে যে আমরা ফাউন্ডেশনের দুই হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছি, এই বলে জেলে পাঠিয়ে দেবে। বিষয়টি আমাদের সবার আত্মসম্মানের সঙ্গে সম্পর্কিত। এ জন্য আমাদের প্রপার ডকুমেন্ট লাগবে। সঠিক কাজপত্র পৌঁছানো হলে এক সপ্তাহের মধ্যে আমাদের ফান্ড পৌঁছে দেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘কালো শকুনদের খারাপ চক্রান্ত এখনও থামেনি। আপনাদের দোয়ায় যদি বেঁচে থাকতে পারি তাহলে কোনও শহীদ পরিবার ও আহতদের গায়ে একটি টোকাও লাগতে দেবো না। শহীদ পরিবার ও আহত ভাইদের কাউকে দুর্দশাগ্রস্ত জীবনযাপন করতে হবে না। এটি করতে হয়তো একটু সময় লাগবে। আমরা আমাদের জীবনের বিনিময়ে সবটুকু দিয়ে সবসময় আপনাদের পাশে থাকবো।’
অনুষ্ঠান শুরুর আগে শহীদ পরিবারের সদস্যদের কাছে গিয়ে খোঁজ নেন সারজিস আলম। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ। বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) ইউসুফ আলী, অতিরিক্ত রেঞ্জ ডিআইজি (ক্রাইম) মোহাম্মদ শরিফুর রহমান, জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) শামীম হোসেন, সিভিল সার্জন অফিসের প্রতিনিধি মেডিক্যাল অফিসার তুবাউল জান্নান লিমাত, শহীদ আহনাফের মা জারতাজ পারভীন প্রমুখ। সেখানে উপস্থিত হন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঢাকার কয়েকজন সমন্বয়ক ও সহ-সমন্বয়ক।