Image default
বাংলাদেশ

‘প্রকল্প অনুমোদন না দিলে ১৫০ আসনেও ইভিএমে নির্বাচন সম্ভব না’

নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছেন, ‘আমরা ৩০০ আসনেই ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করতে চেয়েছিলাম। পরে ১৫০ আসনে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রয়োজনীয় অর্থের বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। সেই প্রকল্প অনুমোদন না দিলে ১৫০ আসনেও ইভিএমে নির্বাচন করা সম্ভব হবে না।’

শনিবার (২৬ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় রংপুর সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এ কথা বলেন।

এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বিএনপিকে বিভিন্নভাবে এমনকি মিডিয়ার মাধ্যমে আলোচনার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। তারা সাড়া দিচ্ছে না। কেন দিচ্ছে না- এটা তাদের ব্যাপার। তবে আমরা তাদের সংলাপে বসার জন্য আহ্বান জানাতেই থাকবো। আমাদের আহ্বান শেষ হবে না। অনেক বার বলেছি, আপনারা দ্বিধাদ্বন্দ্ব ভুলে আসেন, আলোচনা করি। এখন আমরা দাওয়াত দিলাম আপনারা সাড়া দিলেন না- এ ক্ষেত্রে আমরা কী করতে পারি।’

আগামী ২৭ ডিসেম্বরের রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে যাতে সব প্রার্থীর জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকে সেটি আমরা কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। এখানে এবার সবগুলো ভোট কেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে নির্বাচন হবে। দেশের বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ, সিটি করপোরেশনসহ বিভিন্ন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করে দেখেছি- এটিতে ভোট কারচুপির সুযোগ নেই, জাল ভোট দেওয়ার উপায় নেই। হাতের আঙুলের ছাপ না মিললে ভোট দেওয়া যায় না। একজনের ভোট আরেকজন দেওয়ার উপায় নেই।’

এই কমিশনার বলেন, ‘সে কারণে ইভিএমে নির্বাচন করাটাই উত্তম মনে করেই আমরা রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এই ব্যবস্থা করেছি। এ ছাড়া প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা থাকবে। আমরা ঢাকা থেকে সরাসরি ভোটদান পদ্ধতি পর্যবেক্ষণ করে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হচ্ছে কিনা তা দেখে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবো। নির্বাচনে কোনও অনিয়ম বরদাশত করা হবে না। কোনও কেন্দ্রে ন্যূনতম অনিয়মের অভিযোগ পেলে স্থগিত এবং প্রয়োজনে বাতিল করে দেওয়া হবে। এই নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে যা যা করা দরকার তাই করবো।’

রংপুরে প্রায় ১০ হাজার ইভিএম মেশিন নষ্ট হয়েছে স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘সেই ইভিএম মেশিনগুলো রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে একটাও ব্যাবহার করা হবে না। আমাদের কাছে আরও মেশিন আছে- এমনকি যেসব জায়গায় ইভিএমের মাধ্যমে ভোট হয়েছে সেই ইভিএম মেশিনগুলো আনা হচ্ছে। এ নিয়ে কোনও সমস্যা হবে না। তবে অচল মেশিন কোনও অবস্থাতেই ব্যবহার করা হবে না।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ২১৪টি ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হবে। নির্বাচনে যারা প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করবেন তাদের মধ্যে কেউ রাজনৈতিক দলের সদস্য বা নেতা বা সমর্থক এমন প্রমাণ পেলে তাকে কোন অবস্থায় প্রিসাইডিং অফিসার বা নির্বাচনের কোনও দায়িত্ব দেওয়া হবে না।’

রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রতীক লাঙল নিয়ে যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে সে প্রসঙ্গে এই কমিশনার জানান, ‘জাতীয় পার্টিতে দুটো গ্রুপিং হয়েছে। এটা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কোনও দায় নেই। দলীয়ভাবে তারাই বিষয়টি ঠিক করবেন। আমাদের আরপিওতে পরিষ্কার বলা আছে, দলীয় প্রতীক কারা বরাদ্দ দেবেন। ফলে এ নিয়ে কোনও সমস্যা হবে না ।’

এর আগে রাশেদা সুলতানা রংপুর সার্কিট হাউজে এসে পৌঁছালে রংপুর বিভাগীয় কমিশনার সাবিরুল ইসলামসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাকে স্বাগত জানান। এ সময় আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা শাহাতাব উদ্দিন, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন। পরে তিনি রংপুর নির্বাচন কার্যালয়ে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় যোগ দেন।

Related posts

৩০ বছরের পেশা ছেড়ে চলে যাচ্ছেন তারা

News Desk

২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

News Desk

চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা: মেয়র ও উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পাল্টাপাল্টি দোষারোপ

News Desk

Leave a Comment