পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকার পদ্মার পাড়ে ২৫ দশমিক ৯৬ একর জমির ওপর ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। আগামী ৩০ আগস্ট মাসের মধ্যে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের প্রতিবেদন দেবে দায়িত্বরত প্রতিষ্ঠান। প্রতিবেদন পেলে বাংলাদেশের ১১তম আন্তর্জাতিক এই ক্রিকেট স্টেডিয়ামের নির্মাণকাজের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
মাঠ নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে গত ৩ মার্চ ভিস্তারা ও বসত জেভি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের একটি চুক্তি হয়। স্টেডিয়ামটি নির্মাণে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৫২০ কোটি। প্রাথমিকভাবে মানিকগঞ্জ স্টেডিয়াম নামে যাচাইয়ের কাজ শুরু হলেও এর প্রকৃত নাম হবে ‘শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম’।
ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক ও মানিকগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য এ এম নাঈমুর রহমান দুর্জয় বলেন, ‘সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই নির্মাণকাজের দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখা যাবে। প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য ভিস্তারা ও বসত জেভি প্রতিষ্ঠানকে পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা স্টেডিয়ামের প্রস্তাবিত জায়গা পরিদর্শন করেছে।’
তিনি বলেন, ‘দ্রুত কাজটি সম্পন্ন করতে প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আমরা সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি। এখানে স্টেডিয়াম হলে এই এলাকার অনেক মানুষের উন্নয়নের দ্বার উন্মোচন হবে। আমাদের এলাকার সম্মান বাড়বে।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালে বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পদ্মার পাড়ে একটি আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম করার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৮ সালে পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় এক নির্বাচনি জনসভায় আনুষ্ঠানিকভাবে চূড়ান্ত ঘোষণা দেন তিনি। তখন প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘যেহেতু দুর্জয় ক্রিকেট খেলোয়াড়, এখন দলীয় এমপি। তার নির্বাচনি এলাকাতেই হবে স্টেডিয়ামটি।’
এরপর এটিকে অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসেবে নেয় ক্রীড়া পরিষদ। স্টেডিয়ামটির কাজ দ্রুত শুরু করতে লেগে রয়েছেন নাঈমুর রহমান দুর্জয়। করোনার কারণে কিছুটা ভাটা পড়লেও এখন দ্রুত এগিয়ে চলছে পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ।