কক্সবাজারের টেকনাফের নয়াপাড়ার নিবন্ধিত রোহিঙ্গার একটি দল নোয়াখালী বন্যাকবলিত মানুষদের জন্য ত্রাণ নিয়ে গেছে। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে বেসরকারি সংস্থা আল মানাহিল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের মাধ্যমে নোয়াখালী ক্ষতিগ্রস্ত ৫০০ পরিবারের মাঝে বিতরণ করেন রোহিঙ্গারা।
রোহিঙ্গারা বলেন, বন্যাকবলিত মানুষদের ভয়াবহতার খবর প্রকাশ হলে ১৯৯২ সালে মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলাম, সেই দুঃস্মৃতি মনে পড়ে। সেই চিন্তা থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াই। এর অংশ হিসেবে নিবন্ধিত নয়াপাড়ার ক্যাম্পে বাসিন্দা রোহিঙ্গা মাওলানা হাফেজ কদর উদ্দিনের নেতৃত্বে সাত জনের একটি প্রতিনিধি দল বন্যার্তদের জন্য নিবন্ধিত নয়াপাড়ার রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য চাল ডাল চিনিসহ নগদ টাকা সংগ্রহ করা হয়। পরে ত্রাণগুলো বেসরকারি সংস্থা মাধ্যমে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের ৬ নম্বর ইউনিয়নের ৫০০ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়। ত্রাণের প্যাকেটে শুকনো খাবার, তেল ও পানিসহ দুই হাজার টাকার নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ছিল।
এ বিষয়ে ত্রাণ সংগ্রহ দলের সদস্য মুহাম্মদ সালাম বলেন, ‘মিয়ানমারের জান্তা সরকারের নির্যাতনের শিকার হয়ে ১৯৯২ সালে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলাম। সে সময় বাংলাদেশের জনগণ আমাদের ত্রাণসহ বিভিন্নভাবে সহায়তা করেছিল। ফলে আজ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছি। আমরা বন্যাকবলিত এলাকায় এসে বুঝতে পারি, তাদের অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের আরও সহতায় দরকার। আমাদের যার যার অবস্থান থেকে বন্যার্তদের সহায়তা দিয়ে পাশে থাকা উচিত।’
নয়াপাড়া নিবন্ধিত ক্যাম্পের বাসিন্দা সালাম বলেন, ‘১৯৯২ সালে বাংলাদেশে এলে এখানকার সাধারণ মানুষ আমাদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছে। সেই মানুষগুলো বন্যার কবলে পড়ে নিঃস্ব হয়ে যায়। তাই তাদের ত্রাণে দিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছি। সবার উচিত এসব ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়ানো।’