নীলফামারীতে জমে উঠেছে ঈদের বাজার
বাংলাদেশ

নীলফামারীতে জমে উঠেছে ঈদের বাজার

নীলফামারীতে ঈদের বাজার জমে উঠেছে। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত জেলা শহরের দোকানপাট খোলা থাকছে। শহরের নিউ মার্কেট, পৌর সুপার মার্কেট, মকবুল হোসেন সুপার মার্কেট, মুরাদ আলী প্লাজা, কালিবাড়ি মোড় ও বড় বাজারে ইফতারের পর ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে।

মকবুল হোসেন সুপার মার্কেটের সাজু ক্লথ স্টোরের মালিক সাজু মিয়া জানান, এ বছর ঈদ বাজারে দেশি সুতি থ্রি-পিসের সঙ্গে ভারতীয় অরগেনজা, মেঘা, চান্দ্রিয়া, জয়পুরি ও পাকিস্তানি সারারা গারারা বেশি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আছে কাতান, বাড়িস, কারচুপি, বালাহার, মটকা, কাশ্মির কাতান ও কাঁচা বাদাম থ্রি-পিসের প্রচুর চাহিদা।

পৌর সুপার মার্কেটে ঈদ বাজার করতে আসা তাইয়্যেবা সরকার শ্যামা বলেন, করোনায় গত দুই বছরে ঈদ তেমন ভালো কাটেনি। শেষদিকে অনেক ভিড় হয়। তাই ভিড় এড়াতে আগেই কেনাকাটা শেষ করতে চাই। 

জেলা শহরের বড় বাজারের স্মৃতি ক্লোথ স্টোরের মালিক মকবুল হোসেন জানান, গত বছরের তুলনায় দাম কিছুটা বেশি হলেও ক্রেতাদের সামর্থ্যের মধ্যেই বেচাকেনা চলছে। তবে সারারা গারারা, কাঁচা বাদাম, কাতান, ইন্ডিয়ান থ্রি-পিস সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে। শাড়ির মধ্যে বেশি বিক্রি হচ্ছে খাড্ডি বেনারসি, চেন্নাই সিল্ক, নতুন কানজিবরণ, বুটিক, ক্রেপসি, মন্দানি, জামদানি ও মহারাষ্ট্র। এছাড়া লেহেঙ্গার চাহিদাও বেড়েছে বেশ।

নীলফামারী চেম্বারের সভাপতি প্রকৌশলী এস এম শফিকুল আলম ডাবলু বলেন, করোনা পরবর্তী বাজার শুরু হলে বৈশ্বিক কারণে কিছু কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। তবে বিপণিবিতানগুলোতে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ক্রেতাদের কাজ থেকে অতিরিক্ত মুনাফা হাতিয়ে নিচ্ছে। ঈদ উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের বাজার তদারকি বাড়ানো বলে দাবি করেন তিনি।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ জানান, জনগণের জানমাল রক্ষায় সব সময় সতর্ক আছি। ঈদকে সামনে রেখে শহরের বিভিন্ন বিপণিবিতান, দোকান ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ টহল দিচ্ছে। এছাড়া যানজট নিরসনেও বিভিন্ন পয়েন্টে কাজ করছে ট্রাফিক বিভাগ।

Source link

Related posts

বরেণ্য চিত্রশিল্পী এসএম সুলতানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত

News Desk

ভাঙারি মালামালের ব্যবসা নিয়ে যুবদল নেতা-জামায়াত কর্মীর রেষারেষি, জনদুর্ভোগ

News Desk

দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের কাজ করার আহ্বান

News Desk

Leave a Comment