নওগাঁর পত্নীতলায় বাগান দখল করে আম গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আবুল হোসেন। শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নওগাঁর ঐতিহ্যবাহী প্যারিমোহন গ্রন্থাগারে লিখিত বক্তব্যে তিনি এই অভিযোগ করেন। এই ব্যবসায়ী ঢাকার সাভার জালেম্বর মহল্লার নিরাজ উদ্দীন দেওয়ানের ছেলে।
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, নওগাঁর পত্নীতলার ব্যবসায়ী আনিছুর মোল্লা তার বন্ধু। তার মাধ্যমে প্রায় ১২ বছর আগে পত্নীতলার ঘোষপাড়া গ্রামের মৃত গোপেন্দ্রনাথ ঘোষের ছেলে গৌতম ঘোষ ও মেয়ে মিতালী রাণী ঘোষের কাছ থেকে ৬০ লাখ টাকায় পাটিচোরা ইউনিয়নের ছালিগ্রাম মৌজায় ৪ দশমিক ৩২ একর জমি ক্রয় কেনেন (যার হাল দাগ নং-১০১৮, সাবেক দাগ-৫৩ এবং জেএল নং-২২৬)। ওই জমিতে বারি-৪ জাতের ১২০০ আম গাছের চারা রোপণ করে ভোগ দখল করে আসছেন। আম গাছগুলো বড় হয়ে এখন ফল দেওয়া শুরু করেছে। প্রতি বছর ওই জমি থেকে প্রায় ১০ লাখ টাকার আম বিক্রি করে সাংসারিক খরচ চালানোর পাশাপাশি সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয়ের পরিকল্পনা করেছেন ভুক্তভোগী।
তিনি দাবি করেন, হঠাৎ ১৫ সেপ্টেম্বর পূর্ব পাটিচোরা গ্রামের নাইম হোসেন এবং তার দুই ভাই লেমন হোসেন ও সেলিম হোসেনসহ আরও ২০/২৫ জন হাঁসুয়া, দা, কুড়াল, লাঠিসোঁটা নিয়ে বাগানে প্রবেশ ৮০০টির বেশি আম গাছ কেটে ফেলে। এতে প্রায় এক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ সময় বর্গাদার আব্দুস সামাদ তাদের বাধা দিলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি ও বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। তিনি ঢাকার বাসিন্দা হওয়ায় ব্যবসায়ীক কাজে ব্যস্ত থাকায় এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তার কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিতে পাঁয়তারা করছে।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ করা হয়েছে। দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায়ীর ছেলে শফিউল্লাহ দেওয়ান ও ভাতিজা শোভন শাহারিয়ার।
অভিযুক্ত নাইম হোসেন দাবি করেন, জমিটি ১৯৯১ সালে তাদের নামে খারিজ ও পত্তনমূলে নামে হোল্ডিং আছে। তারাও ওই জমির মালিক। ওনাদের জমিরও দাগও আলাদা। বিষয়টি নিয়ে যেহেতু বিবাদ চলছে, এই বিবাদটি নিষ্পত্তি করতে থানায় বসতে চেয়েছিলাম। কিন্তু উনি না বসে টালবাহানা করছেন। জমির মালিক তো জমির দখল নেবেই।
পত্নীতলা থানার ওসি শাহ মো. এনায়েতুর রহমান বলেন, আবুল হোসেন নামের একজন ব্যবসায়ী থানায় অভিযোগ করেছিলেন অনেক দিন আগে আম বাগান মালিকানা সমস্যা নিয়ে। তবে কয়েক দিন থানায় এসে তিনি জানান, তার বাগানের গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। পুলিশ পাঠিয়ে সেটা বন্ধ করা হয়েছে। পরে যতটুকু জেনেছি, তিনি আদালতের আশ্রয় নিয়েছেন। এখন আদালত থেকে যে নির্দেশনা আসবে সেটা বাস্তবায়ন করা হবে।