গত ৮ জুন থেকে নিখোঁজ আলোচিত ইসলামী বক্তা আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনানকে নিয়ে জাতীয় সংসদে কথা বলেছেন বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে ত্ব-হা আদনানকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এমপি হারুন।
আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমালোচনা করে হারুন বলেন, আজকে আমরা অপহরণ-গুম-খুনের কথা বলছি। এই কিছুদিন আগে একজন আলেম নিখোঁজ হয়েছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, খোঁজ নিচ্ছি। আজকে যদি তাকে ফিরিয়ে দিতে না পারেন এটা রাষ্ট্রের জন্য বড় ব্যর্থতা হবে। আমি বলব, আদনানকে অবশ্যই ফিরিয়ে দিতে হবে। তার পরিবারের আহাজারি আপনাকে শুনতে হবে।
সংসদে সরকারি দলের এমপিরা বাস্তব আলোচনা করেন না দাবি করে বিএনপির এই সংসদ সদস্য বলেন, এখন রাষ্ট্র পরিচালনার কোনো দলিল নেই। মাননীয় স্পিকার এক্সাম্পল দেখাতে পারব। সংবিধানে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি বলা হচ্ছে- জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা। আমরা কি আর সেই জায়গায় আছি? বাংলাদেশের সিংহভাগ মানুষ মুসলমান, ৯০ ভাগ মানুষ ইসলাম ধর্মের অনুসারী। আমাদের ধর্মীয় গ্রন্থ কোরআন। আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি, কোরআনে ধর্মনিরপেক্ষতার কোনো স্থান নেই। সুতরাং আমি মনে করি, সংবিধানে একটি বড় অসঙ্গতি রয়েছে।
এ সময় তিনি খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার দাবি জানিয়ে বলেন, সংবিধানের দ্বিতীয় অনুচ্ছেদে মৌলিক অধিকারের যে অনুচ্ছেদগুলো রয়েছে, সেখানে সভা-সমাবেশের কথা বলা হয়েছে। সেগুলোর কি কোনো অস্তিত্ব আছে- এমন প্রশ্ন রেখে এমপি হারুন আরও বলেন, আজকে ভিন্নমত প্রকাশের কোনো স্বাধীনতা আছে? ভিন্নমত প্রকাশ করতে পারছে? আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদ যেটি নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে রাষ্ট্রকে সাংঘাতিকভাবে নাড়া দিয়েছে। আজকে রাষ্ট্রপতি নির্বাহী বিভাগের ৪৯/এ অনুচ্ছেদটি রয়েছে সেখানে যে কোনো দণ্ডিত আসামিকে রাষ্ট্রপতিকে মাফ করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। অথচ আজকে সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া রাজনৈতিক কারণে মাত্র দুই বছর সাজা দিয়ে তাকে আপনি (সরকার) চিকিৎসার সুযোগ দিচ্ছেন না। বাংলাদেশে আজকে দণ্ডিত আসামিদেরকে আপনারা মাফ করে দিচ্ছেন। এটি হতে পারে না।