করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুরোধে চলমান কঠোর লকডাউন পরিস্থিতিতে মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগ আবির্ভূত হচ্ছে। সম্প্রতি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে শিশু-বৃদ্ধসহ সব বয়সীরাই রয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের স্বাস্থ্য তথ্য ইউনিটের (এমআইএস) সহকারী পরিচালক ও হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন অ্যান্ড কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. কামরুল কিবরিয়া জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় (৪ জুলাই সকাল ৮টা থেকে ৫ জুলাই সকাল ৮টা পর্যন্ত) রাজধাীসহ সারাদেশে ৩৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩৮ জন রাজধানীর সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও একজন ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ভর্তি হন।
তিনি বলেন, এ নিয়ে সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে মোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১২০ জনে দাঁড়াল। মোট ভর্তি রোগীর মধ্যে ১১৭ জন রাজধানীতে ও তিনজন ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। ডা. কামরুল কিবরিয়া আরও জানান, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত মোট ৫০৪ জন রোগী ভর্তি হন। তাদের মধ্যে ৩৮৪ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাত্র ১৫ দিন আগেও রাজধানীতে গড়ে প্রতিদিন একজন কিংবা দুজন রোগী ভর্তি হতেন। কিন্তু দুই সপ্তাহ ধরে হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা হঠাৎ বেড়ে গেছে। কোনো কোনো রোগীকে আইসিইউতে পর্যন্ত নিতে হচ্ছে।
স্বাস্থ্যি অধিদফতরের মুখপাত্র পরিচালক (সংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কিত প্রেস ব্রিফিংয়ে রোববার বলেন, করোনা সংক্রমণের পাশাপাশি ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে।বর্ষাকালে থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে এডিস মশার বংশবিস্তার ঘটে। তিনি এডিস মশার প্রজননস্থলে পানি জমিয়ে না রেখে নিয়মিত ফেলে দেয়ার পরামর্শ দেন।
এছাড়া জ্বর হলে ঘরে বসে না থেকে ডেঙ্গু জ্বর কি-না পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়ার অনুরোধ জানান অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম।