ঈদের আগে-পরে সাত দিন এক জেলার মোটরসাইকেল অন্য জেলায় যেতে পারবে না। পদ্মা সেতু ও ফেরি দিয়েও মোটরসাইকেল পারাপার নিষিদ্ধ রয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন মোটরসাইকেলচালকরা। বাধ্য হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা থেকে এসে ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে পদ্মা নদী পাড়ি দিচ্ছেন তারা।
বৃহস্পতিবার মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া বাজার ঘাটে দেখা যায়, পদ্মার উত্তাল ঢেউ উপেক্ষা করে মোটরসাইকেল পার করছেন ট্রলারচালকরা। প্রতি মোটরসাইকেলে ভাড়া হিসাবে সর্বনিম্ন ৬০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। ২০-২৫টি ট্রলার দিয়ে এসব মোটরসাইকেল পারাপার করতে দেখা গেছে।
নাজিমউদ্দীন নামে এক মোটরসাইকেলচালক বলেন, ‘আজ থেকে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ থাকবে। আগামী রবিবার ঈদ। পরিবারের সঙ্গে ঈদ উৎযাপন করার লক্ষ্যে বরিশালের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। কিন্তু এখন কী করবো? পদ্মা সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ। সেই সঙ্গে ফেরিও বন্ধ। তাই বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়ে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছি। আবার ভাড়াও অনেক বেশি।’
নাদিম মাহমুদ নামে আরেক মোটরসাইকেলচালক বলেন, ‘ঢাকাতে ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলাম। এখন বাসায় ফিরতে চাচ্ছি কিন্তু এখন যেতে পারছি না। সঙ্গে অসুস্থ মা রয়েছে। বাধ্য হয়ে ট্রলারে পার হচ্ছি।’
হাসাড়া হাইওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক উৎপল দাস জানান, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী এক জেলা থেকে অন্য জেলায় মোটরসাইকেল প্রবেশ করতে পারবে না। তাই এক্সপ্রেসেওয়েতে টহল জোরদার করা হয়েছে। তবে মোটরসাইকেল ধরার ব্যাপারে এখনও নির্দেশনা আসেনি। কিছু কিছু মোটরসাইকেল চলাচল করছে।
পদ্মা সেতুর উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলমগীর হোসাইন জানান, সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। কেউ যদি মোটরসাইকেল নিয়ে আসলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঝুঁকি নিয়ে যাতে সেতু পারাপার না হতে পারে এবং কোনও ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটে, সেজন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মাওয়া নৌপুলিশ স্টেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু তাহের মিয়া জানান, শিমুলিয়া বাজার থেকে ট্রলারে মোটরসাইকেল পারাপারের বিষয়ে জানা নেই। ট্রলারে মোটরসাইকেল পারাপার করলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।