জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার এখন সময়ের দাবি: মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী
বাংলাদেশ

জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার এখন সময়ের দাবি: মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি বলেছেন, ‘জিয়াউর রহমান বাংলাদেশে প্রথম গুম ও খুনের ঘটনা শুরু করেছিলেন। তার মরণোত্তর বিচার হওয়া এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে। বিভিন্ন দেশে আইন রয়েছে মৃত ব্যক্তির নামে কোনও বিচার হয় না, মামলা-মোকাদ্দমা হয় না। এজন্য খুনি জিয়ার বিচার করতে গেলে প্রয়োজনে আইন পরিবর্তন বা কমিশন গঠন করতে হবে। যারা আত্মস্বীকৃত খুনি, যারা পর্দার আড়ালে ছিল তাদের বিচার হয়নি। তাদেরও বিচারের আওতায় নিয়ে আসা হবে।’

শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দিনাজপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ‘মায়ের কান্না’র আয়োজনে ‘খুনি জিয়া, অগ্নিসন্ত্রাসী খালেদা ও কুলাঙ্গার তারেকের শাসনামলে কোথায় ছিল মানবাধিকার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭৫ সালের আগে বাংলাদেশে গুম ও খুনের ঘটনা ঘটেনি। জিয়াউর রহমান বিমান বাহিনী ও সেনাবাহিনীর বহু সদস্য যারা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন তাদের গুম ও খুন করেছেন। বিনা বিচারে হত্যা করাও তিনি শুরু করেছিলেন। কোনও সামরিক সদস্য অন্যায় করে থাকলে তাকে কোর্ট মার্শালের মাধ্যমে বিচার করতে হবে। কিন্তু তিনি সেই আইন কোনোদিন মানেননি। এরপর তিনি বহু গুম ও খুনের ঘটনা ঘটিয়েছেন। ফাঁসির রায় দেওয়ার ছয় মাস আগেই একজনকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে এমন দালিলিক প্রমাণও আমাদের কাছে আছে। গুম এবং খুন বাংলাদেশে ছিল না। খুনি জিয়া এটা শুরু করেছেন।’

মায়ের কান্না’র প্রধান উপদেষ্টা কর্নেল নাহিদ এজাহার খান এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি। বক্তব্য রাখেন রংপুর-২ আসনের এমপি আবুল কালাম মোহাম্মদ আহসানুল হক চৌধুরী। এ সময় বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাস, লুটপাটের শিকার ভুক্তভোগীরা বক্তব্য রাখেন।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আরও বলেন, ‘১৯৭৫ সালে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। দেশের বাইরে থাকায় শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা প্রাণে বেঁচে যান। পরে দেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে দেশে এনে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করেন। জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী খালেদা জিয়া ও ছেলে তারেক রহমান দেশে গুম ও খুনের রাজনীতি শুরু করেন। এমনকী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মারার জন্য ১৯ বার হত্যাচেষ্টা করেছে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। সেসময় তারেক রহমান হাওয়া ভবনে বসে শেখ হাসিনা হত্যার পরিকল্পনা করে। সে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কাছ থেকে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন অস্ত্র দেশে আনে শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য। বিএনপি এখনও গুম ও খুনের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারে নাই। গুম করে বিনা বিচারে ও নিয়মবহির্ভূতভাবে হত্যা করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে কমিশন গঠন করে বিচার হওয়া উচিত।’ গুম ও খুনের ঘটনায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেসকল পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা প্রদান করার কথা জানান মন্ত্রী।

Source link

Related posts

সুন্দরগঞ্জে পাট চাষী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

News Desk

বালুচর থেকে নারীসহ গ্রেপ্তার ৬

News Desk

স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরুই হয়েছিল গণতন্ত্রের জন্য: মান্না

News Desk

Leave a Comment