ছুটির দিনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে প্রায় ১৫ কিলোমিটার অংশজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রী ও চালকরা।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) সকালে মহাসড়কের সানারপাড় থেকে লাঙ্গলবন্দ পর্যন্ত এই যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে তীব্র গরমে যাত্রীদের হাঁসফাঁস অবস্থা তৈরি হয়েছে।
বাস ছেড়ে হেঁটে রওনা করেছেন যাত্রী আশরাফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে মোগড়াপাড়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসে উঠেছিলাম। কিন্তু শিমরাইল পর্যন্ত আধা ঘণ্টায় আসতে পেরেছি। এখন বাস থেকে নেমে হেঁটে সামনের দিকে যাচ্ছি। রাস্তা ফাঁকা দেখলে গাড়িতে উঠে যাবো।’
মদনপুর থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত ৪০ টাকা বাড়িয়ে ভাড়া হাঁকাচ্ছেন অটোচালক রফিক মিয়া। তিনি বলেন, ‘মহাসড়কে অনেক যানজট। যানজট ঠেলে কাঁচপুর যেতে দুই ঘণ্টার বেশি সময় লাগবে। তাই কুতুবপুরসহ এলাকার ভেতরের গলি দিয়ে কাঁচপুরের কাছাকাছি মহাসড়কে নামিয়ে দিতে পারবো। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে যাওয়ার ফলে ভাড়া একটু বেশি নিতে হচ্ছে।’
প্রাইভেট কোম্পানির মালামাল নিয়ে ট্রাকে করে মেঘনা যাচ্ছেন চালক জামাল মিয়া। তিনি বলেন, ‘শুনেছি সকালে একটি গাড়ি উল্টে গেছে। এরপর থেকে যানজট শুরু হয়েছে। এখন তীব্র আকার ধারণ করেছে।’
এ বিষয়ে কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল হক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ভোর থেকে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। যানজট নিরসনে আমাদের একাধিক টিম কাজ করছে।’
তিনি বলেন, ‘সকালে মহাসড়কে একটি গাড়ি বিকল হয়ে পড়ে। এরপর থেকে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। তবে বিকল হয়ে যাওয়া গাড়িটি সরিয়ে ফেলা হলেও যানজট রয়ে গেছে।’
কারণ হিসেবে তিনি আরও বলেন, ‘ত্রাণের গাড়িসহ বিভিন্ন যানবাহন এলোমেলোভাবে প্রবেশ করায় এমনটা হয়েছে। বিশেষ করে ঢাকা-চট্টগ্রামমুখী লেনে বেশি যানজট হয়েছে।’