চাঁদপুরে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারডুবিতে পাঁচ জনের মৃত্যুর ঘটনায় ছয় জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে। সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় মামলাটি করেন মারা যাওয়া শ্রমিক আউয়ালের ভাতিজা কাউছার।
মামলার আসামিরা হলেন- ঘাতক বাল্কহেডের সুকানি বাহার, মালিক ইকবাল হোসেন, শ্রমিক জাবেদ, আবুল বাশার, ইউনুস ও দিদার। এদের মধ্যে সুকানি বাহার ও মালিক ইকবাল হোসেন পলাতক রয়েছেন। আর শ্রমিক জাবেদ, বাশার, ইউনুস, দিদারকে ঘটনার পরপর চাঁদপুর নৌথানা পুলিশ বাল্কহেড থেকে আটক করেছে।
চাঁদপুর নৌ থানার ওসি মো. মুজাহিদুল ইসলাম জানান, বাল্কহেড ও ট্রলার সংঘর্ষে পাঁচ জনের মৃত্যুর ঘটনায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। নিহত শ্রমিক আউয়ালের ভাতিজা কাউছার মামলাটি করেন। ছয় আসামির মধ্যে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি দুই জন পলাতক রয়েছে।
উল্লেখ্য, সোমবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের মমিনপুর গ্রাম এলাকায় ডাকাতিয়া নদীতে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় মাটিবাহী একটি ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে। এতে ট্রলারে থাকা মাঝিসহ ১১ জন শ্রমিকের মধ্যে ছয় জন সাঁতরে পাড়ে উঠলেও পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে।
নিহত শ্রমিকরা হলেন- কুমিল্লা জেলার মুরাদ নগর থানার বহরা গ্রামের মোবারক হোসেন, একই এলাকার মাদবপুর গ্রামের আল আমিন, তিতাস থানার ধুলারাসপুর এলাকার চাঁনপুর গ্রামের মো. নাছির উদ্দিন, ট্রলারের মাঝি মুরাদনগর থানার রঘুনাথপুরের মো. আউয়াল ও কুমিল্লা তিতাস থানার রঘুনাথপুর গ্রামের মো. নজরুল ইসলাম কালা। এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে নৌপুলিশ।