হাঁটু পানি জমেছে চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে। ইয়াসের প্রভাবে এ পানি উঠেছে বলে ধারণা বন্দর সংশ্লিষ্টদের। বুধবার (২৬ মে) বন্দরের দুপুর ১২টা নাগাদ বন্দরের সিসিটি রেফার ইউনিট, এনসিটি, আইসিডি ইউনিট, ওভার ফ্লো ইয়ার্ডসহ ৪ নম্বর গেটের সড়কে পানি উঠে যায়। তবে, এ পানি ১টার দিকে আবার সরে যায়।
মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রাম বন্দরের আউটার থেকে মাদার ভ্যাসেলকে সরিয়ে গভীর সমুদ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এছাড়া কর্ণফূলী নদী বিক্ষিপ্তভাবে থাকা লাইটার জাহাজকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। বন্দরের জেটিতে কনটেইনার হ্যান্ডলিং শিথিল করা হয়েছে। ঘুর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোবাবিলায় সব ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ এর প্রভাবে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে প্রস্তুত চট্টগ্রাম বন্দর। ইতিমধ্যে কযেক দফায় সভা করে ব্যাপক প্রস্তুতিমূলক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ। বন্দরের কনটেইনার হ্যান্ডলিং শিথিল করা হয়েছে। বিভিন্ন সেডে দায়িত্বরত কর্মীদের দায়িত্বও বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বন্দরের ডেপুটি কনজারবেটর ক্যাপ্টেন ফরিদ উদ্দিন বলেন, ঘুর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় বন্দর কর্তৃপক্ষ ৫টি কমিটি গঠন করেছেন। এরমধ্যে দুটি কমিটি (সমুদ্রে) জাহাজ নিয়ন্ত্রণের কাজ করছে, তিনটি কমিটি (স্থলে) বন্দরের ইয়াস মোকাবিলার কাজ করছে। এছাড়া খোলা হয়েছে একটি কন্ট্রোল রুম (031-726916)। যে কোন সময় ঘুর্ণিঝড় ‘ইয়াসের ’আাঘাত হানা শুরু করলে বা সংকেত বৃদ্ধি পেতে থাকলে দ্রুতই বন্দরের জেটিও খালি করা হবে। আপাতত সীমিত আকারে চলছে জেটিতে কাজ।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক বলেন, সংকেত বাড়লে জাহাজ থেকে পণ্য ওঠানো-নামানো বন্ধ করে দেওয়া হবে। আমাদের করণীয় প্রস্তুতি যা যা দরকার আমরা সবই করে রেখেছি। বরং যে প্রস্তুতি ঘুর্ণিঝড়ের সংকেত বাড়লে নিতে হতো সেটি আমরা আগেই নিয়ে রেখেছি। সুতরাং ইয়াস আঘাত হানলেও সেটি মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত রয়েছি।
তিনি বলেন, এখন পণ্য খালাসও শিথিল করে দেওয়া হয়েছে। বন্দরের সব কার্যক্রম চলছে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক প্রস্তুতি নিয়েই। আবহাওয়া অধিদপ্তর মঙ্গলবার চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর বিপদসংকেত দেখাতে বলা হচ্ছে। জানা গেছে, বন্দরের আউটার থেকে বড় জাহাজকে মহেশখালী-কক্সবাজার গভীরসমুদ্রের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এছাড়া কর্ণফূলী থেকে লাইটার জাহাজকে সরিয়ে কালুরঘাট-কর্ণফূলী পুরাতন ব্রিজ এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।