চট্টগ্রামের পাঁচটি পার্কের সবকটি বন্ধ, মানুষ ঘুরতে যাবে কোথায়?
বাংলাদেশ

চট্টগ্রামের পাঁচটি পার্কের সবকটি বন্ধ, মানুষ ঘুরতে যাবে কোথায়?

চট্টগ্রামে দ্রুত নগরায়ণ হচ্ছে। ঘটছে শিল্পের সম্প্রসারণ। খোলা জায়গা, মাঠ, নদী ও খালগুলো দখল করে আবাসন প্রকল্প আর শিল্পকারখানা তৈরি হচ্ছে। এতে দিন দিন কমছে খেলার মাঠ ও পার্ক। বর্তমানে নগরের পাঁচটি পার্কের মধ্যে সবকটি এখন বন্ধ। এর মধ্যে সর্বশেষ দুটি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ৫ আগস্টের পর।

শিশু-কিশোরদের খেলাধুলা কিংবা বয়স্কদের হাঁটাহাঁটির জন্য এসব পার্ক বেশ পরিচিত জায়গা ছিল। সেগুলোর এখন আর আগের চেহারায় নেই। তার চেয়ে বড় কথা, অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েছে। নগরের বাসিন্দারা বলছেন, নানা অজুহাতে পার্কগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে শিশুদের বিনোদনে ব্যাঘাত ঘটছে। এভাবে মাসের পর মাস বন্ধ রাখার সুযোগে এসব পার্ক হারিয়ে যাবে। পরে দেখা যাবে সেখানে নতুন ভবন তৈরি হয়েছে।

ছেলেমেয়েরা মোবাইলে ভিডিও গেমস নির্ভর হয়ে পড়ছে

নগরের হামজারবাগ এলাকার বাসিন্দা কাশবি আক্তার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘চট্টগ্রামে ছেলেমেয়েদের নিয়ে বেড়ানোর স্থান নেই বললেই চলে এখন। এখন আমরা ঘুরতে যাবো কোথায়? শিশুপার্কসহ সব বিনোদনকেন্দ্র এখন বন্ধ হয়ে গেছে। বিনোদনের স্থান না থাকায় ছেলেমেয়েরা মোবাইলে ভিডিও গেমস নির্ভর হয়ে পড়ছে।’

নগর পরিকল্পনার মানদণ্ড অনুযায়ী, চট্টগ্রাম নগরের জনসংখ্যার অনুপাতে পার্ক ও খেলার মাঠ থাকার কথা অন্তত ৭০০টি। বর্তমানে নগরে খেলার মাঠ আছে ১৯৫টি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর তালা ঝুলছে চট্টগ্রামের অন্যতম দুই পার্ক চান্দগাঁওয়ের স্বাধীনতা কমপ্লেক্স ও আগ্রাবাদের কর্ণফুলী শিশুপার্কে। এর আগে থেকে বন্ধ রয়েছে কাজির দেউড়ি এলাকায় অবস্থিত শিশুপার্ক। গত কয়েক বছর ধরে বন্ধ আছে পাঁচলাইশের জাতিসংঘ পার্ক। দুই নম্বর ষোলশহর এলাকায় বিল্পব উদ্যানটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করে ধ্বংস করে ফেলেছে সিটি করপোরেশন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, চট্টগ্রামে শিশু-কিশোরদের জন্য পার্ক ছিল মাত্র তিনটি। এর মধ্যে গত বছরের শেষের দিকে কাজীর দেউড়ির শিশুপার্কটি সিলগালা করে দেয় জেলা প্রশাসন। এরপর সেটি ভেঙে ফেলা হয়। এ অবস্থায় আগ্রাবাদের কর্ণফুলী শিশুপার্ক ও চাদগাঁওয়ের স্বাধীনতা কমপ্লেক্স পার্ক ছিল শিশুদের বিনোদনের স্থান। পার্ক দুটির প্রথমটি গণপূর্ত বিভাগের এবং অন্যটি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মালিকানাধীন। গত ৫ আগস্ট থেকে এই দুই পার্কেও তালা ঝুলছে। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে আত্মগোপন রয়েছেন পার্কের ইজারাদাররা। ৫ আগস্ট লুটপাট চালানো হয় স্বাধীনতা কমপ্লেক্স পার্কে। এরপর হামলার ভয়ে কর্ণফুলী পার্কে তালা দেয় কর্তৃপক্ষ। দুটি পার্ক পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে বন্ধ। ফলে চট্টগ্রাম নগরে এখন শিশুদের আর কোনও বিনোদনকেন্দ্র নেই।

ছুটির দিনে ঘুরে বেড়ানোর মতো পার্ক আর নেই

শিশুদের মানসিক বিকাশের উন্মুক্ত পরিবেশে ঘোরাঘুরি ও বিনোদনকেন্দ্রগুলোর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তবে বর্তমানে নগরের শিশুদের ছুটির দিনে ঘুরে বেড়ানোর মতো পার্ক আর নেই। 

জেলা পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০২২ সালের হিসাবে, চট্টগ্রাম নগরে ১ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুর সংখ্যা প্রায় আট লাখ। এর মধ্যে ৫ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুর সংখ্যা সাড়ে পাঁচ লাখের বেশি।

বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতি এক হাজার জন বাসিন্দাদের জন্য অন্তত তিন একর খেলার মাঠ কিংবা পার্ক প্রয়োজন। সে হিসাবে শিশুদের জন্য যে পরিমাণ মাঠ কিংবা পার্ক চট্টগ্রামে থাকার কথা, তার কিছুই নেই।

২০০৮ সালে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) প্রণীত নগরের বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনার (ড্যাপ) মানদণ্ড অনুযায়ী, প্রতি ১০ হাজার জনসংখ্যার জন্য পাঁচ একরের একটি পার্ক বা খেলার মাঠ রাখার কথা বলা হয়েছিল। সিটি করপোরেশনের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রামের জনসংখ্যা ৭০ লাখের বেশি। সে হিসাবে খেলার মাঠ ও পার্ক থাকার কথা ৭০০টি। অথচ সিটি করপোরেশনের ৪১টি ওয়ার্ডে মাঠ আছে ১৯০টি। পার্ক ছিল পাঁচটি।

কর্ণফুলী শিশুপার্ক

নগরের আগ্রাবাদ এলাকায় পার্কটির অবস্থান। ১৯৯২ সালের ২১ মে গণপূর্ত অধিদফতরের কাছ থেকে ৮ দশমিক ৮৬ একর জায়গা বরাদ্দ নেয় সিটি করপোরেশন। আট বছর পর ১৯৯৯ সালের ২০ ডিসেম্বর শিশুদের বিনোদনকেন্দ্র তৈরির জন্য সিটি করপোরেশনের সঙ্গে ২৫ বছরের চুক্তি করে আনন্দ মেলা লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি নগরের আগ্রাবাদ জাম্বুরি মাঠের পাশে কর্ণফুলী শিশুপার্ক নামে শিশুদের জন্য বিনোদনকেন্দ্র গড়ে তোলে। ২০২৫ সালে শেষ হবে ইজারা চুক্তি। তবে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে এটি বন্ধ রয়েছে। পার্কের নিরাপত্তাকর্মীরা জানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মেনেই পার্কটি বন্ধ রেখেছেন তারা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পার্কের মূল ফটকে তালা। বাইরে থেকে দেখা যায়, ভেতরের খালি জায়গায় ঘাস-আগাছা জন্মেছে। বিভিন্ন স্থানে চেয়ার-টেবিল বিক্ষিপ্ত অবস্থায় পড়ে আছে। পার্কের দুই নিরাপত্তাকর্মী আবদুল মালেক ও ইয়ার আলী জানান, ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান থেকেই পার্ক বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে তাদের।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, ৫ আগস্টের পর ইজারাদার প্রকাশ্যে আসেননি। এ বিষয়ে এস্টেট শাখাকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

স্বাধীনতা কমপ্লেক্স পার্ক

একসময় এই পার্কের নাম ছিল শহীদ জিয়া কমপ্লেক্স। ২০০৬ সালে নাম পরিবর্তন করে ১১ একর জায়গার ওপর বাংলাদেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক স্থাপনার রেপ্লিকা নিয়ে নগরের চাদগাঁওয়ে তৈরি করা হয় স্বাধীনতা কমপ্লেক্স। সংসদ ভবন, শহীদ মিনার, সোনা মসজিদ, কান্তজিউ মন্দির, আহসান মঞ্জিল, সুপ্রিম কোর্ট ও স্মৃতিসৌধের রেপ্লিকা রয়েছে পার্কটিতে। এ ছাড়া ১৫টি বেশি রাইড, ছোট-বড় রেস্তোরাঁ ছিল পার্কের ভেতরে। এর মূল আকর্ষণ ছিল প্রায় ২০০ ফুট উঁচু টাওয়ারে থাকা ঘূর্ণমান রেস্তোরাঁ। ২৩ তলা উচ্চতায় অবস্থিত এই রেস্তোরাঁ থেকে এক নজরে পুরো চট্টগ্রাম শহর ও কর্ণফুলী নদী দেখার সুযোগ ছিল। ৫ ও ৬ আগস্ট পার্কের সীমানাপ্রাচীর ভেঙে লোকজন ঢুকে পড়েন। এরপর পার্কের রেস্তোরাঁগুলোতে চলে লুটপাট। বিভিন্ন স্থাপনা থেকে খুলে নেওয়া হয় গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন। পার্কে লাইট, টাইলস, চেয়ার-টেবিল চুরি করা হয়। ভাঙচুর করা হয় টাওয়ারটিতেও।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৬ সালে পার্কের ইজারা পান চট্টগ্রাম নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি হেলাল উদ্দিন। সরকার পতনের পর থেকে তিনি আত্মগোপনে। ফলে এটি আর খোলা হয়নি।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, পার্কের প্রবেশ ফটক খোলা। তবে সড়কের সঙ্গে থাকা মূল প্রবেশপথগুলো বন্ধ। কাঠ ও লোহার তার দিয়ে পেঁচিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে গেট। দূর থেকে দেখা যায় টাওয়ারের কাচের দেয়ালগুলো ভাঙা। রেস্তোরাঁতেও ভাঙচুরের চিহ্ন দেখা গেছে।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম জানিয়েছেন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম স্বাধীনতা কমপ্লেক্স পার্ক পরিদর্শন করেছেন। এটি চালুর জন্য একটি প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এ ছাড়া কাজীর দেউড়ি পার্কের স্থানে শিশুবান্ধব কিছু পরিকল্পনা নেওয়া হবে।

পার্কের নিরাপত্তায় নিয়োজিত কর্মচারীরা জানিয়েছেন, মালিকের নির্দেশে পার্কটি বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। কবে খোলা হবে সে বিষয়ে তাদের কিছুই জানা নেই।

চট্টগ্রাম শিশুপার্ক

২০২৩ সালের ২৩ নভেম্বর নগরের কাজীর দেউড়ির শিশুপার্কটি সিলগালা করে দেয় জেলা প্রশাসন। এরপর সেটি ভেঙে ফেলা হয়। পার্কের জমি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের। সিটি করপোরেশন জমিটি লিজ নিয়েছিল। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সিটি করপোরেশনকে যেসব শর্তে জমিটি ব্যবহারের জন্য দেওয়া হয়েছিল, তার ব্যত্যয় ঘটায় ইজারা বাতিল করা হয়েছে। বর্তমানে এই পার্কের জমিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিজয় মেলা।

জাতিসংঘ পার্ক

২০১২ সালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন জাতিসংঘ পার্কের জলাশয় এবং ওয়াকওয়ের জায়গায় সুইমিংপুল নির্মাণের একটি প্রকল্প হাতে নেই। তখন থেকেই বন্ধ রয়েছে পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকায় অবস্থিত পার্কটি। ১৯৬৪ সালে ২ দশমিক ১৭ একর জমিতে গড়ে উঠেছিল এটি। এতে চার কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে দুটি সুইমিংপুল তৈরি করা হয়। পুলগুলোকে পার্ক থেকে আলাদা করার জন্য সীমানাপ্রাচীর দিয়ে পার্কটিকে অর্ধেক করে ফেলা হয়। পরে পার্কের পুলের পানিতে ডুবে এক কিশোরের মৃত্যু হয়। এরপর থেকে পুলগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়েছিল বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে পার্কের সংস্কারকাজ শুরু হয়। গণপূর্ত বিভাগ ১১ কোটি ৭০ লাখ টাকার প্রকল্প হাতে নেয়। এটির যৌথভাবে সংস্কারকাজ বাস্তবায়ন করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বাবর অ্যাসোসিয়েটস ও করোনেশন করপোরেশন।

প্রকল্পের আওতায় পার্কে সবুজায়ন করা হয়। নির্মাণ করা হয় ওয়াকওয়ে এবং দর্শনার্থীদের বসার স্থান। এ ছাড়া পার্কের মাঝখানে একটি ফোয়ারা করা হয়। তবে নির্মাণকাজ চলায় পার্কটি এখনও বন্ধ আছে।

জাতিসংঘ পার্কের প্রকল্প কর্মকর্তা ও গণপূর্ত অধিদফতরের চট্টগ্রাম অঞ্চলের (সার্কেল-১) নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুল হাসান খান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘পার্কের কাজ শেষ হয়েছে। এটি চালু করতে কিছু জনবল প্রয়োজন আছে। আমরা জনবলের চাহিদা চেয়ে ঢাকায় চিঠি দিয়েছি। ইতিমধ্যে অনুমোদন পেয়েছি। গার্ড তিন শিফটের জন্য চার জন করে ১২ জন চাওয়া হয়েছে। দুই জন ইলেক্ট্রিশিয়ান পদে জনবল চাওয়া হয়েছে। এসব জনবল পাওয়া গেলে পার্ক চালু করা হবে। এজন্য আরও মাসখানেক সময় লাগতে পারে।’

বিপ্লব উদ্যান

নগরের ২ নম্বর গেটের ষোলশহর এলাকায় অবস্থিত বিপ্লব উদ্যানটি এখন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বিপ্লবী নারী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের স্মরণে ১৯৭৯ সালে উদ্যানটি নির্মিত হয়। যার নাম রাখা হয় বিপ্লব উদ্যান। নগরের সবুজ উদ্যানটিতে প্রথম আঘাতটি করা হয় ২০১৮ সালে। ওই বছর ১ নভেম্বর স্টাইল লিভিং আর্কিটেক্টস লিমিটেড ও রিফর্ম লিমিটেড নামে বেসরকারি দুটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করে সিটি করপোরেশন। বিপ্লব উদ্যানে সৌন্দর্যবর্ধনের নামে ২০ বছর মেয়াদি এক চুক্তির পর উদ্যানে গড়ে তোলা হয় ইট-কনক্রিটের অবকাঠামো। বিপ্লব উদ্যান ধ্বংসের কবল থেকে রক্ষায় চট্টগ্রামের পরিবেশবিদরা মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছেন। এরপরও রক্ষা করা যায়নি। বর্তমানে সিটি করপোরেশনে নতুন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে উদ্যানের নতুন স্থাপনা ভেঙে ফেলা হয়। অবশিষ্ট অংশে পার্ক করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, বিপ্লব উদ্যানের কাজ শুরু হয়েছে। শিগগিরই এটার ডিজাইন করা হবে। আশা করছি, আগামী ৪-৫ মাসের মধ্যে পার্কে লোকজন বেড়ানোর সুযোগ পাবেন।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘চট্টগ্রাম মহানগরে জনসংখ্যা অনুযায়ী পর্যাপ্ত খেলার মাঠ-পার্ক নেই। আমার ইচ্ছে নগরের ৪১টি ওয়ার্ডে খেলার মাঠ, ওয়ার্কিং স্পেস ও শিশুপার্ক গড়ে তুলবো। যেসব বন্ধ পার্ক আছে সেগুলো খুলে দেওয়ার কাজ চলছে। বিপ্লব উদ্যান বিগত মেয়রদের লোভের বলি হয়েছে। এ কারণে ধ্বংস করে দিয়েছে। যেটুকু অবশিষ্ট আছে, তাতে পুনরায় পার্ক হবে।’

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান (সিডিএ) প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, ‘চট্টগ্রাম নগরে যে পরিমাণ খেলার মাঠ-পার্ক থাকার কথা ছিল, তা নেই। যেগুলো আছে সেগুলো দিন দিন সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। বিপ্লব উদ্যান ভেঙে স্থাপনা নির্মাণ করা হলেও সিডিএ থেকে কোনও প্রকার অনুমোদন নেওয়া হয়নি। অবশ্যই আমাদের উন্মুক্ত পরিসর, খেলার মাঠ ও উদ্যানের বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে।’

Source link

Related posts

চট্টগ্রামে চলছে না তেলচালিত পরিবহন, দুর্ভোগে যাত্রীরা

News Desk

সিলেটে হেরোইনসহ সিমা ও শিল্পী গ্রেফতার

News Desk

রাজশাহী মেডিকেলে ২৪ ঘণ্টায় ২১ জনের মৃত্যু

News Desk

Leave a Comment