রংপুরের মিঠাপুকুরে মোংলা কুজুর (৬০) নামে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর এক শ্রমিককে ঘুমন্ত অবস্থায় কুপিয়ে হত্যা করেছে তার ছেলে জীবন কুজুর। জীবন কুজুর ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত অবস্থায় মাথায় কুড়াল দিয়ে সজোরে কোপ মারলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। গতকাল শুক্রবার বিকেলে উপজেলার বড় হযরতপুর ইউনিয়নের রামেশ্বরপাড়া আদিবাসীপল্লীতে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আজ শনিবার নিহতের চাচা বাদী হয়ে মিঠাপুকুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ঘাতক জীবন কুজুর ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বড় হযরতপুর ইউনিয়নের রামেশ্বরপাড়া গ্রামের আদিবাসিপল্লীর বাসিন্দা মোংলা কুজুর একটি ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করেন। পারিবারিক বিরোধ নিয়ে সম্প্রতি পিতা-পুত্রে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। এ বিরোধের জেরে গতকাল শুক্রবার বিকেলে নিজ শয়ন কক্ষে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় মোংলা কুজুরকে হত্যা করেন ছেলে জীবন কুজুর।
খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় নিহতের চাচাতো ভাই আতুল কুজুর মাস্টার বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
মিঠাপুকুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাকির হোসেন বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। কি কারণে তার একমাত্র ছেলে পিতাকে হত্যা করলো তা তদন্ত করা হচ্ছে। একই সঙ্গে মামলার আসামিকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।