গাজীপুরের কালিয়াকৈরে শ্রমিকদের তিন মাস এবং স্টাফদের পাঁচ মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে মাহমুদ জিনস লিমিটেড পোশাক কারখানার শ্রমিক ও কর্মচারীরা বিক্ষোভ করেছেন। সকাল ৯টা থেকে তারা কারখানায় বিক্ষোভ করেন। শুক্রবার (২৩ আগস্ট) উপজেলার চন্দ্রা এলাকায় ওই পোশাক কারখানার শ্রমিক ও কর্মচারীরা বিক্ষোভ শুরু করেছেন।
জানা যায়, সকালে শ্রমিকরা কাজে যোগ দেন। পরে সকাল ৯টার দিকে তারা বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে তারা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করলে ওই সড়কের উভয় পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দেখা দেয় দীর্ঘ যনজট।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কারখানার শ্রমিকরা জানান, তিন মাস যাবৎ তাদের বেতন দিচ্ছে না কারখানা কর্তৃপক্ষ। সুপারভাইজার, ইনচার্জসহ ওপরের অন্যান্য স্টাফদের পাঁচ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। বুধবার (২১ আগস্ট) বিকালে বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেন। ওই সময় কারখানা কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বেতন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও পরে আর দেয়নি। ওই দিন রাতেই শ্রমিকরা বেতনের দাবিতে কারখানার সমানে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। পরে পুলিশ এসে আশ্বাস দিলে তারা বাড়ি ফিরে যান। এ প্রতিবেদন লেখার পর্যন্ত (দুপুর ১ টা) শ্রমিকদের কর্মসূচি চলছিল। ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী এবং শিল্পপুলিশের সদস্যরা উপস্থিত আছেন।
লাইন চিফ আজহার হোসেন, সুপারভাইজার বাচ্চু মিয়া এবং সুইং অপারেট হালিমা খাতুনসহ কয়েকজন শ্রমিকরা বলেন, ‘গত পাঁচ মাস যাবৎ বেতন না পাওয়ায় আমাদের খুব কষ্ট করে চলতে হচ্ছে। দোকানমালিকরা বাকিতে আর বাজার দিতে চাচ্ছে না। কেউ ধারদেনাও দিচ্ছে না। বাড়ির মালিকরা ঘর ভাড়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। বাচ্চাদের স্কুলের বেতন দিতে না পারায় তাদের স্কুলে পাঠালেও যেতে চাচ্ছে না। মালিক কর্তৃপক্ষ বকেয়া বেতন কবে দেবে কিছুই বলছে না। বাধ্য হয়ে আমরা মহাসড়কের চন্দ্রা এলাকায় অবস্থান নিয়ে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করছি।’
গাজীপুর শিল্পপুলিশের ইন্সপেক্টর নিতাই চন্দ্র বলেন, ‘মাহমুদ জিনস লিমিটেড পোশাক কারখানার সকল স্টাফ ও শ্রমিকরা সকাল থেকেই বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন। গত কয়েকদিন যাবৎ কারখানার ভেতরে কাজ বন্ধ করে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করছেন বলে তারা জানান। সেনাবাহিনী শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলছে।’