খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় দুই পক্ষের সংঘর্ষের উত্তেজনা রাঙামাটিতেও ছড়িয়ে পড়েছে। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলা শহরের কয়েকটি স্থানে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে দীঘিনালায় হামলার প্রতিবাদে রাঙামাটিতে পাহাড়ি শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিলটি বনরুপা বাজারে গেলে পুরো শহরে গুজব ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়দের মধ্যে তৈরি হয় আতঙ্ক। এ সময় বনরুপা বাজারে হামলা চালানো হয়। আগুন দেওয়া হয় একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। এতে কয়েকজন আহত হন।
বিভিন্ন এলাকায় আহতের খবর পাওয়া গেলেও হাসপাতালে দুজন চিকিৎসা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন রাঙামাটি সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক শওকত আকবর খান।
রাঙামাটি কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী মাঠে নেমেছে।’
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়। এ সময় অনেক জায়গায় অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। লারমা স্কয়ারে অন্তত ৬০টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার সকালে চুরির অভিযোগে গণপিটুনিতে মামুন নামের এক ব্যক্তি নিহত হওয়ার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিকালে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন দীঘিনালা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীরা। এই মিছিলকে ঘিরেই সংঘর্ষের সূত্রপাত। একপর্যায়ে লারমা স্কয়ারে আগুন দেয় নাশকতাকারীরা, পুড়ে যায় অন্তত ৬০টি দোকান।
আরও পড়ুন-
কাটলো গুজব-আতঙ্কের রাত, পাহাড় অশান্তের নেপথ্যে কাদের হাত?
দীঘিনালায় দুই পক্ষের সংঘর্ষ, দুর্বৃত্তের আগুনে পুড়েছে ৬০ দোকান