কৃষ্ণচূড়ার রঙে সেজেছে গোয়ালন্দ রেলস্টেশন
বাংলাদেশ

কৃষ্ণচূড়ার রঙে সেজেছে গোয়ালন্দ রেলস্টেশন

কালবৈশাখীর রুদ্র তাণ্ডব, আর রোদের খরতাপ নিয়ে আসা গ্রীষ্মকালে ফোটে কৃষ্ণচূড়া। লাল রঙের ফুলের সমারোহ নীরবে বিলাতে থাকে তার সৌন্দর্য। এই ফুলের রঙেই নিজেকে রঙিয়েছে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ রেলস্টেশন।

রেলস্টেশন সংলগ্ন রেললাইনের পাশে প্রায় শতাধিক গাছে শোভা পাচ্ছে কৃষ্ণচূড়া ফুল। এগুলো রোপণ করেছিলেন স্থানীয় কিছু সৌন্দর্যপ্রেমী যুবক। তাদের রয়েছে একটি সামাজিক সংগঠন। যার নাম ‘একজ জাগরণে’। 

জানা গেছে, ‘একজ জাগরণে’র সদস্যরা প্রায় ১১ বছর আগে রেললাইনের রাস্তার দুই পাশসহ গোয়ালন্দ উপজেলার বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, বাজার এলাকায় রোপণ করেন এক হাজারেরও বেশি কৃষ্ণচূড়ার চারা। সেসব চারা বড় গাছে পরিণত হয়েছে। এলাকার শোভা ও সৌন্দর্য বাড়িয়েছে।

কয়েক বছর আগে কৃষ্ণচূড়া গাছগুলো কাটার উদ্যোগ নেয় রেলওয়ে। সে সময় একজের তরুণরা রেললাইনের মধ্যে শুয়ে রেল অবরোধ করেন। আসেন রেল কর্মকর্তারা। রক্ষা পায় সারি সারি গাছ।  

সরেজমিন গোয়ালন্দ রেলস্টেশন ও তার পাশে অবস্থিত সড়কে দেখা যায়, সড়কের পাশে রোপিত কৃষ্ণচূড়া গাছে গাছে ফুলের সমাহার। এলাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে দর্শনার্থীরা এসে গাছের নিচে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন। পরিবার নিয়ে সৌন্দর্য উপভোগ করতেও দেখা গেছে অনেককেই।

স্থানীয়রা বলেন, ১০-১১ বছর আগে কিছু ছেলেদের এই গাছগুলো রোপণ করতে দেখেছিলাম, আমরা ভেবেছিলাম, রেলের পাশে বলে হয়তো গাছগুলো কাটা পরবে। একবার কাটার চেষ্টা চালালেও, তা হয়নি। আগে যখন গাছগুলো ছিল না, তখন প্রচণ্ড রোদে রাস্তা দিয়ে হাঁটা কষ্ট হয়ে যেতো। এখন আমাদের চলাচল অনেক সহজ হয়েছে। আমরা ছায়ায় বসতে পারি। এছাড়া এলাকার অনেক হাট এই গাছের নিচেই বসে। 

একজন সদস্য শামীম আহমেদ বলেন, ‘আমরা যখন গাছগুলো রোপণ করি, তখন অনেকেই অনেককিছু বলেছে। কিন্তু সে সবে কান দেইনি। আমরা কাজ করে গেছি। ১১ বছর পর যখন গাছগুলো বড় হয়েছে এবং ফুল ফুটছে, তখন কতো ভালো লাগছে, তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। তবে কষ্ট হয় যখন দেখি, কেউ পেরেক ঠুকে গাছে ব্যানার-পোস্টার ঝোলায়।’

একজ জাগরণের আহ্বায়ক সুজন সরওয়ার বলেন, ‘এলাকার সৌন্দর্য ও পরিবেশের কথা বিবেচনা করে আমরা প্রতিবছর গাছ রোপণ করে থাকি। এ পর্যন্ত কয়েক হাজার গাছ রোপন করেছি। কৃষ্ণচূড়া ও হাজারখানেক তালগাছ বিভিন্ন স্থানে রোপণ করা হয়েছে। সবসময় প্রাণ ও প্রকৃতি নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করি। আমরা নিজস্ব অর্থায়নে এ ধরনের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে থাকি।’

তিনি আরও বলেন, ‘গাছ ও ফুল শোভাবর্ধন করলেও এর সৌন্দর্যে ভাটা ফেলছে বিভিন্ন ব্যানার ও পোস্টার। আমাদের অসচেতনতার কারণে প্রকৃতির ক্ষতি হচ্ছে। আমাদের আরও বেশি সচেতন হতে হবে।’

Source link

Related posts

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি আবারও বাড়ল ৩০ শে জুন পর্যন্ত

News Desk

গত সাড়ে পনেরো বছরে গ্যাস খনন করা হয়নি: শিল্প উপদেষ্টা

News Desk

পদ্মা সেতুর উদ্বোধন দেখতে ভোলা থেকে ১৪ লঞ্চে আসছে মানুষ

News Desk

Leave a Comment