কাউন্টারে নেই বাসের টিকিট, বেশি দামে মিলছে বাইরে
বাংলাদেশ

কাউন্টারে নেই বাসের টিকিট, বেশি দামে মিলছে বাইরে

কুমিল্লায় বাসের কাউন্টারে টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে বাইরে বেশি দামে টিকিট পাওয়া যাচ্ছে। টিকিট কাটা হলেও বাস আসতে বেশি সময় নিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা।

শনিবার (৭ মে) কুমিল্লার জাঙ্গালিয়া বাস টার্মিনাল গিয়ে দেখা গেছে, কাউন্টারে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। ভিড়ের মধ্যে যাত্রীদের বলা হচ্ছে টিকিট নেই। তবে কাউন্টার থেকে বেরিয়ে এলেই মিলছে টিকিট। সেক্ষেত্রে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে অনেক বেশি।

রয়েল কোচের টিকিট পাওয়া যাত্রী ফাতেমা খানম বলেন, ‘আমি টিকিট পেয়েছি। তবে কাউন্টারে নয়। বাইরে থেকে কিনেছি। একটু বেশি দিয়ে নিতে হয়েছে। পেয়েছি এটাই বেশি।’

আবদুস সালাম নামের আরেক যাত্রী বলেন, ‘আমি ঢাকার টঙ্গী এলাকায় যাবো। তিন ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও টিকিট পাইনি। তারা বলছেন, আব্দুল্লাহপুরের টিকিট নেই। অথচ আমার সামনে দিয়ে মানুষ টিকিট নিয়ে যাচ্ছে। কেউ অমুক ভাই তমুক ভাইয়ের নাম নিয়ে টিকিট নিচ্ছেন। আমি বারবার অনুরোধ করলেও পাইনি।’

জানা গেছে, কুমিল্লা-ঢাকা রুটে পরিবহন কোম্পানি রয়েছে পাঁচটি। সেগুলো হলো- তিশা প্লাস, এশিয়া লাইন, রয়েল কোচ, এশিয়া এয়ারকন ও মিয়ামি এক্সপ্রেস। এর মধ্যে তিশা ও এশিয়া লাইন নন-এসি, বাকিগুলো এসি। নন-এসিতে বাসের ভাড়া ছিল ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। কাউন্টারে এখনও তাই নেওয়া হচ্ছে। স্বাভাবিক সময়ে তিনটি এসি পরিবহনে ২২০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হতো। কিন্তু ঈদ আসার পরই শুরু হয় ভিন্ন চিত্র। এখন নেওয়া হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা পর্যন্ত।

কাউন্টার থেকে বলা হচ্ছে, টিকিট নেই

এশিয়া এয়ারকনের জাঙ্গালিয়া শাখার কাউন্টারের কর্মকর্তা রবিউল বলেন, ‘ঈদে যাত্রীর চাপ বেশি। তাই আমাদের গাড়িগুলো ভর্তি গেলেও যাত্রী ছাড়াই ফিরতে হয়। এতে আমাদের বেশি খরচ হয়। তাই আমরা ৫০ টাকা বাড়িয়ে ৩০০ টাকা নিই।’

রয়েল কোচের জাঙ্গালিয়া কাউন্টারের ম্যানেজার শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ৩০০ টাকাই নিচ্ছি। আগেও একই ছিল। বাইরে টিকিট বিক্রির কোনও অভিযোগ পাইনি।’

এদিকে, লাকসাম, শাসনগাছা, কুমিল্লার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকার বাস টার্মিনালগুলোতেও বেশি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

লাকসামের যাত্রী ইমাম হাসান খোকন মোবাইল ফোনে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘পরিবারসহ গ্রামে ঈদ করতে এসেছি। বাড়িতে যাওয়ার সময় ২২০ টাকা করে টিকিট কিনেছি। আর ঢাকায় এসেছি ৩০০ টাকা করে টিকিট কিনে। বাসের চালক ও শ্রমিকরা সিন্ডিকেটের মতো আটকে রেখেছে মানুষকে।’

দীর্ঘ অপেক্ষায়ও মিলছে না টিকিট

এ বিষয়ে কুমিল্লা জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি তাজুল ইসলাম বলেন, ‘সামান্য চাপ আছে। তবে এগুলো সামলে নিচ্ছি। কোনও অনিয়মের অভিযোগ পাইনি। পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তিনি দাবি করেন, ‘টিকিট কাউন্টারের বাইরে টিকিট বিক্রি নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে, এ বিষয়ে আমি জানি না। আমি রয়েল কোচ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে দেখছি কী করা যায়।’

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর কুমিল্লার সহকারী পরিচালক আসাদুল ইসলাম বলেন, ‘এসি বাসগুলোর ভাড়া যাত্রী ও মালিকদের সমন্বয়ে নির্ধারণ করা হয়। এতে সরকারের কোনও হাত নেই। এরপরও যদি ভোক্তা অধিকার বিরোধী কোনও অভিযোগ পাই, অবশ্যই ব্যবস্থা নেবো।’

Source link

Related posts

চট্টগ্রামে শিক্ষার্থীদের সড়ক ও রেলপথ অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ

News Desk

কিশোরগঞ্জে ‍পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত অর্ধশত

News Desk

পর্যাপ্ত পর্যটক সাড়া নেই খাগড়াছড়িতে, লোকসানের শঙ্কা ব্যবসায়ীদের

News Desk

Leave a Comment