রাজশাহীতে আলোচিত ‘কাঁচা আমের জিলাপি’ তৈরিতে ব্যবহৃত উপাদান নিয়ে গ্রাহকদের বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে প্রচারণায় প্রতারণার অভিযোগে ‘রসগোল্লা’ মিষ্টি ভাণ্ডারকে জরিমানা করা হয়েছে। শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) বিকাল ৩টার দিকে রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর ও বিএসটিআই যৌথ অভিযান পরিচালনা করে প্রতিষ্ঠানটিকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর রাজশাহী বিভাগের সহকারী পরিচালক হাসান-আল-মারুফ বলেন, ‘রাজশাহীতে কাঁচা আমের জিলাপি নিয়ে একটা আলোচনা তৈরি হয়েছে। কিন্তু এই জিলাপি তৈরিতে কাঁচা আমের ধারণা পুরোপুরি সঠিক না। মাসকলাইয়ের ডাল, ডালডাসহ অন্যান্য উপকরণের সঙ্গে ছোট ছোট আম সামান্য থাকছে। জিলাপির সবুজ কালার নিয়ে আসতে ফুড গ্রেড কালার ব্যবহার করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘রসগোল্লা গ্রাহকদের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তা রক্ষা করতে পারেনি। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুযায়ী এটা ভোক্তা অধিকার বিরোধী কাজ। প্রতিষ্ঠানটির মালিক আরাফাত রুবেল যেহেতু নতুন উদ্যোক্তা তাই সতর্কতা হিসেবে তাকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হলো।’
আরও পড়ুন: কাঁচা আমের জিলাপি কিনতে ভিড়
বিএসটিআই রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক দেবব্রত বিশ্বাস বলেন, ‘এখানে তারা গ্রাহকদের সঙ্গে প্রচারণার ক্ষেত্রে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন। কাঁচা আমের যে কনসেপ্ট তারা দিয়েছেন, তা পুরোপুরি ঠিক না। ফুড কালার ব্যবহার করে জিলাপির রঙ নিয়ে আসা হচ্ছে। সামান্য কিছু কাঁচা আম তারা ব্যবহার করছে। কিন্তু জিলাপির রঙ নিয়ে আসতে তারা পুরোপুরি ফুড কালারের ওপর নির্ভরশীল।’
রাজশাহীতে গত ৭ এপ্রিল থেকে কাঁচা আমের জিলাপি বাজারে আনে রসগোল্লা নামের প্রতিষ্ঠানটি। রাজশাহী নগরীর ভদ্রা ও উপশহর নিউ মার্কেটে অবস্থিত রসগোল্লার দুইটি বিক্রয়কেন্দ্রে এই কাঁচা আমের তৈরি জিলাপি পাওয়া যাচ্ছে। ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে এই জিলাপি।
রসগোল্লার উদ্যোক্তা আরাফাত রুবেল বলেন, ‘আমরা কাঁচা আম দিয়ে জিলাপি তৈরি করছিলাম। এখন আম ছোট ও পরিমাণ কম ছিল, এটাই ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিকার অধিদফতরের কাছে দৃষ্টিকটু লেগেছে। এ ছাড়া প্রচারণা নিয়ে তারা কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আগামীতে বিষয়গুলোর দিকে নজর থাকবে।’