কক্সবাজারে জোয়ারের পানিতে অর্ধশত গ্রাম প্লাবিত, পাহাড়ধসের আশঙ্কা
বাংলাদেশ

কক্সবাজারে জোয়ারের পানিতে অর্ধশত গ্রাম প্লাবিত, পাহাড়ধসের আশঙ্কা

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে কক্সবাজারে বজ্রবৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বয়ে গেছে। এ সময় ঝোড়ো হাওয়ায় জেলার কিছু কিছু এলাকায় ভেঙে গেছে গাছপালা। সাগরে স্বাভাবিকের চেয়ে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জোয়ারের পানিতে অর্ধশত গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

সোমবার (২৭ মে) বেলা ১১টার পর থেকে থেমে থেমে চলা এ বর্ষণের সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া এবং বজ্রবৃষ্টি হয়েছে। যদিও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। তবে ভারী বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার ও আশপাশের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ আব্দুল হান্নান জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারে ৯৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আরও দু-তিন দিন একই ধরনের বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে। ফলে পাহাড়ধসের আশঙ্কা রয়েছে। সাগরের পানি স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে এখনও ২ ফুট উচ্চতায় রয়েছে। ফলে সাগরবর্তী এলাকায় জোয়ারের পানি প্রবেশ করবে।

রিমালের প্রভাবে থেমে থেমে চলে বৃষ্টি

বৃষ্টি এবং জোয়ারের পানিতে কক্সবাজারের অন্তত অর্ধশত গ্রাম প্লাবিত হওয়ার তথ্য জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন ও জনপ্রতিনিধিরা। এর মধ্যে কক্সবাজার পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের নাজিরাটেক, কুতুবদিয়াপাড়া, সমিতিপাড়া, মোস্তাকপাড়া, ফদনার ডেইল, নুনিয়ারছড়া, মহেশখালী উপজেলার ধলাঘাটা ও মাতারবাড়ি ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকা এবং সেন্টমার্টিন দ্বীপের কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এসব উপকূলের লোকজন আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছেন। তাদের রান্না করা খাবার বিতরণ করছে প্রশাসন।

পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে চলছে প্রচারণা

এদিকে ভূমিধসের আশঙ্কায় পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে প্রচার চালাচ্ছে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভা। কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহিন ইমরান জানিয়েছেন, পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জনপ্রতিনিধিরা কাজ করছেন। সহজে নিরাপদ আশ্রয় না নিলে জোরপূর্বক সরানো হবে। ইতোমধ্যে জেলার উপকূলীয় অঞ্চলের সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নেওয়া লোকজন নিজ নিজ বাড়িতে ফেরত গেছেন। তবে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নিরূপণ করা হচ্ছে।

Source link

Related posts

রাজশাহী মেডিক্যালের করোনা ইউনিটে দুই দিনে ৭ জনের মৃত্যু

News Desk

করোনার রেজাল্ট নেগেটিভ আশার কথা শুনেই তিনি সুস্থ

News Desk

সেই ‘বইহীন’ পাঠাগারে রাখা হলো গাইড বই

News Desk

Leave a Comment