কক্সবাজারের ইনানীতে পর্যটকদের সেবায় চালু করা হয়েছে ‘কায়াকিং’। ইনানীর বড়খালে পরীক্ষামূলক কায়াকিং সেবা চালু করেছে বিচ বাংলা ট্যুরিজম।
বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) দুপুরে ইনানী সি-বিচে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন উখিয়া উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা সালেহ আহমদ। বিচ বাংলা ট্যুরিজমের কর্ণধার আবদুল আজিজের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ইনানী ট্যুরিস্ট পুলিশের এসআই আবদুল মজিদসহ অনেকে।
এ সময় উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা সালেহ আহমদ বলেন, ‘কক্সবাজারে পর্যটন শিল্প বিকাশের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। পর্যটক সেবায় প্রতি বছর নতুন প্রতিষ্ঠান ও উদ্যোক্তারা এগিয়ে আসছেন। এরই ধারাবাহিকতায় ‘বিচ বাংলা ট্যুরিজম’ ইনানী বড়খালে কায়াকিং চালুর মাধ্যমে পর্যটনে নতুন মাত্রা যোগ করলো। এটি পর্যটকদের বাড়তি আনন্দ দেবে। এমন উদ্যোগের জন্য ‘বিচ বাংলা ট্যুরিজমের দায়িত্বশীলদের ধন্যবাদ জানাই। আশা করছি, আগামীতে পর্যটক সেবায় আরও নতুন কিছু সংযোজিত হবে।’
ইনানী ট্যুরিস্ট পুলিশের এসআই আবদুল মজিদ বলেন, ‘ইনানীতে কায়াকিং চালুর মাধ্যমে পর্যটন ক্ষেত্রে নতুন অধ্যায় শুরু হলো। পর্যটন শিল্পকে বিকশিত করতে এ ধরনের আরও নতুন নতুন মাধ্যম চালু হওয়া উচিত। এ ক্ষেত্রে ট্যুরিস্ট পুলিশ পর্যটকদের নিরাপত্তার পাশাপাশি অন্যান্য বিষয়েও আন্তরিকভাবে কাজ করবে।’
বিচ বাংলা ট্যুরিজমের কর্ণধার আবদুল আজিজ বলেন, ‘কক্সবাজারে পর্যটকদের জন্য সৈকত আর পাহাড় ছাড়া দেখার কিছু নেই। তাই, পর্যটকদের কথা চিন্তা করে ইনানী বড়খালে কায়াকিং চালুর করেছি। এই কায়াকিং পর্যটকদের শতভাগ সেবা দেবে।’
উল্লেখ্য, ভ্রমণ করার জন্য ‘কায়াক’ হলো এক ধরনের ছোট নৌকা যা বৈঠা বা লগি ব্যবহার করে চালানো যায়। সাধারণত স্পোর্টস বা খেলার প্রতিযোগিতার উদ্দেশ্যে জলাশয়, নদী, সমুদ্র উপকূল বা সমুদ্রে চালানো হয়। কক্সবাজার শহরের কলাতলী মোড় থেকে নয়নাভিরাম মেরিন ড্রাইভ সড়ক হয়ে পাথুরে বিচ ইনানী বড়খালে ‘কায়াকিং’ পয়েন্ট। যেকোনও ধরনের গাড়ি নিয়ে যাওয়া যাবে ইনানী ‘কায়াকিং’ পয়েন্টে।