তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে ভুল চাহিদায় সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকরা পুনঃসুপারিশের দাবিতে মানববন্ধনের ডাক দিয়েছেন। আগামী ১১ মে সকাল ১০টায় বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হবে।
মানববন্ধন শেষে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান এনামুল কাদের খান এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বরাবর স্মারকলিপি দেবেন ভুক্তভোগী শিক্ষকরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মানববন্ধনের ডাক দেওয়া এনটিআরসিএর ভুল চাহিদায় সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষক ফোরামের অন্যতম সমন্বয়ক মো. তৈয়ব হোসেন।. . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .
তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, অনেক প্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষকের পক্ষ থেকে ভুল চাহিদা দেওয়া হয়েছে। অনেকের আবার নারী কোটার সমস্যা। প্যাটার্ন যাওয়ার পর দেখা গেছে নারী কোটা পূরণ হয়নি। আগে থেকেই অন্য বিষয়ের শিক্ষক বিজ্ঞান শিক্ষকের প্যাটার্নে থাকায় ভৌত বিজ্ঞানে সুপারিশপ্রাপ্তদের সুপারিশপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানে এমপিও হচ্ছে না।
তিনি বলেন, আমি জেনারেল শাখার, আবেদনও করেছি জেনারেল শাখায়। কিন্তু যোগদান করতে গিয়ে দেখি এটা কারিগরি শাখার পোস্ট। এমন বিভিন্ন কারণে অনেকেই যোগদান করতে পারেনি। আবার অনেকে যোগদান করলেও এমপিও হচ্ছে না।
তৈয়ব বলেন, প্রধান শিক্ষক আমার মতো অনেককেই সার্টিফিকেট দেখে নিয়োগ দেননি। তাদের পক্ষ থেকে আমরা লিখিতভাবে প্রত্যয়ন পেয়েছি। আমরা এই প্রত্যয়ন নিয়ে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান ও সচিবের সাথে দেখা করেছি। তারা পুনরায় সুপারিশের আশ্বাস দিলেও অগ্রগতি নেই৷ আজ ৪ মাস পার হতে যাচ্ছে আমরা কোনো সমাধান পাচ্ছি না।
‘তাই জটিলতা মুক্ত পদ ও নতুন প্রতিষ্ঠানে পুনরায় সুপারিশের দাবিতে আগামী ১১ মে এনটিআরসিএর সামনে আমরা মানববন্ধন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। একই দিন এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান ও মাউশি ডিজি বরাবর আমরা স্মারকলিপি প্রদান করব’ জানান তিনি।