জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন কার্যক্রম নিজেদের কাছে রাখার বিষয়ে মতামত দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চিঠি পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার এই চিঠি মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন। এনআইডি কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে দেয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের একটি চিঠি সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনে পাঠায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। তা নিয়ে আপত্তি ওঠে ইসিতে। এরপর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয় ইসির তরফে।
চিঠিতে ইসির পক্ষে বলা হয়, তথ্য সংগ্রহকারী ও সুপারভাইজার নিয়াগসহ বিভিন্ন কমিটির তত্বাবধানের মাধ্যমে ভোটারযোগ্য ব্যক্তিদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে। পরবর্তীতে বায়োমেট্রিক ডাটা সংগ্রহ করে রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শেষে তালিকা প্রণয়ন করা হয়। একইভাবে প্রতিবছর তালিকা হালনাগাদ করা হয়।
বাংলাদেশের সংবিধানে অন্য কোন মন্ত্রণালয় বা সংস্থাকে এ ধরণের ক্ষমতা অর্পন করা হয়নি। ফলে অন্য কোন মন্ত্রণালয় বা সংস্থার পক্ষে সকল মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ প্রতিষ্ঠানকে সম্পৃক্ত করে এ ধরণের মহা কর্মযজ্ঞ সম্পাদন করা সম্ভব হবে বলে প্রতীয়মান হয় না। বর্তমান পর্যায়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের দায়িত্ব অন্য কোন মন্ত্রণালয় বা প্রতিষ্ঠানের নিকট অর্পণ করা হলে নতুন করে মাঠ পর্যায় হতে শুরু করে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে অবকাঠামো প্রযুক্তি এবং যন্ত্রপাতি সংগ্রহের প্রয়োজন হবে, যা ব্যয় ও সময় সাপেক্ষ।
জাতীয় পরিচয়পত্রের দায়িত্ব অন্য কোন মন্ত্রণালয়ের নিকট ন্যস্ত করা হলে সেবা প্রদান বিঘিœত হওয়াসহ আইনানুগ জটিলতা সৃষ্টির শঙ্কা তৈরি হতে পারে।
নির্বাচন কমিশন এসব যুক্তি দিলেও সরকারের একাধিক মন্ত্রী জানিয়েছেন, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ি এনআইডি সেবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হবে। জনগণের ভোগান্তি লাগবে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে তারা জানিয়েছেন। যদিও নাগরিক সমাজের তরফেও এসেবা স্থানান্তর নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।