পটুয়াখালীর কুয়াকাটা-সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে মিজান মাঝি নামের এক জেলের জালে ধরা পড়েছে ৯৬ মণ ইলিশ মাছ। সোমবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে পটুয়াখালীর মহিপুর মৎস্য মার্কেটে ‘ফয়সাল ফিস’ নামের মাছের আড়তে ওই মাছ ৩৯ লাখ ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহিপুর মৎস্য আড়ৎ মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি ফজলু গাজী।
মিজান মাঝি বলেন, ‘এফবি ভাই ভাই নামের একটি মাছ ধরার ট্রলার নিয়ে গত পাঁচ দিন আগে নোয়াখালীর সামরাজ থেকে বঙ্গোপসাগরে যাই। গত কয়েকদিন সাগরে জাল ফেললেও তেমন মাছ ধরা পড়েনি। রবিবার (১৩ আগস্ট) বিকালে পায়রা বন্দরের শেষ বয়া সংলগ্ন এলাকায় সাগরে জাল ফেলি। এক টানে ধরা পড়ে ৯৬ মণ ইলিশ। একবারে এত ইলিশ পাওয়ায় অনেক খুশি হয়েছি। এর আগে আমার জালে এত মাছ ধরা পড়েনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এফবি ভাই ভাই ট্রলারের মালিক আমি নিজেই। ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞায় অনেক ধারদেনায় জর্জরিত হয়ে পড়েছি। মাছ বিক্রির টাকায় ধারদেনা শোধ করবো।’
মহিপুর মৎস্য আড়ৎ মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি ফজলু গাজী বলেন, ‘মিজান মাঝির জালে চলতি মৌসুমে সবচেয়ে বেশি মাছ ধরা পড়েছে। তবে অন্যান্য জেলের জালে তেমন বেশি মাছ ধরা পড়েনি। অনেক জেলের সাগরে যাওয়া-আসার খরচও উঠছে না। এতে অনেক জেলে হতাশ হয়ে পড়েছেন। এক জেলের জালে একসঙ্গে এত মাছ ধরা পড়ায় এখন অন্য জেলেদের হতাশা কাটবে।’
কলাপাড়া উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, ‘ইলিশের মৌসুম চলছে। শুধু মিজান নন, আমরা আশা করছি আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সব জেলের জালে ধরা পড়বে প্রচুর ইলিশ।’
তিনি বলেন, ‘মাছ ধরার ওপর ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ২৩ জুলাই। এরপর শত শত ট্রলার নিয়ে উপকূলীয় বিভিন্ন জেলার হাজার হাজার জেলে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার জন্য যাচ্ছেন।’