একদিন এগিয়েছে দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন উদ্বোধন
বাংলাদেশ

একদিন এগিয়েছে দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন উদ্বোধন

দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নবনির্মিত রেললাইন উদ্বোধন একদিন এগিয়ে আনা হলো। আগামী ১২ নভেম্বরের পরিবর্তে ১১ নভেম্বর এ রেললাইন উদ্বোধনের কথা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থেকে এ রেললাইন উদ্বোধন করবেন।  বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) এই তথ্য নিশ্চিত করেন দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের পরিচালক মো. সুবক্তগীন।

তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আগামী ১১ নভেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজারে আসবেন। ওই দিন  রেললাইন উদ্বোধন করবেন। কক্সবাজারে সুধী সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন। দেশের প্রথম আইকনিক রেলওয়ে স্টেশন দেখবেন।’

এর আগে, গত ১৬ অক্টোবর কালুরঘাট সেতুর সংস্কারকাজ পরিদর্শন করেন রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন। এ সময় মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগামী ১২ নভেম্বর কক্সবাজার রেললাইন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন। এ লক্ষ্যে আগামী ২ নভেম্বর চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত পরীক্ষামূলক ট্রেন চলবে।’

প্রকল্প কর্মকর্তা মো. সুবক্তগীন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল পিছিয়েছে। ২ নভেম্বরের পরিবর্তে আগামী ৭ নভেম্বর এ রুটে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচলের নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে পরীক্ষামূলক ট্রেন কক্সবাজার নিতে হলে কালুরঘাট ব্রিজের ওপর দিয়ে নিতে হবে। কালুরঘাট ব্রিজের সংস্কারের জন্য পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল পিছিয়ে ২ নভেম্বরের পরিবর্তে ৭ নভেম্বর নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এ লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচলে এখন কোনও সমস্যা নেই। প্রকল্পের অগ্রগতি ৯৩ শতাংশ। কিছু সংযোগ সড়ক এবং রেলওয়ে স্টেশনসহ অবকাঠামোগত কিছু কাজ বাকি আছে। আগামী ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী নিজে উপস্থিত থেকে এ রেললাইন উদ্বোধনের কথা রয়েছে।’

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আগামী ১১ নভেম্বর কক্সবাজারের পথে ট্রেন চলাচল উদ্বোধনের কথা রয়েছে। তবে বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলবে আরও পরে। কক্সবাজার রুটে ঢাকা এবং চট্টগ্রাম থেকে ছয় জোড়া ট্রেন চলাচলের পরিকল্পনা আছে। তবে ইঞ্জিন ও বগি সংকটের কারণে এখনই তা হচ্ছে না। পর্যায়ক্রমে বাড়ানো হবে। প্রথমে চট্টগ্রাম থেকে দুই জোড়া এবং ঢাকা থেকে এক জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন পর্যটন শহর কক্সবাজারে আসা-যাওয়া করবে।’

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার রেললাইন প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার পর্যন্ত মিটারগেজ রেলপথ নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু পর্যন্ত ৮৮ কিলোমিটার এবং রামু থেকে কক্সবাজার ১২ কিলোমিটার।

১০০ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণে প্রথমে ব্যয় ধরা হয় এক হাজার ৮৫২ কোটি টাকা। ২০১৬ সালে প্রকল্প প্রস্তাব সংশোধন করে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।

এতে অর্থায়ন করেছে এশিয়ান ব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকার। এটি সরকারের অগ্রাধিকার (ফাস্ট ট্র্যাক) প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত। চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন (সিআরইসি) ও বাংলাদেশের তমা কনস্ট্রাকশন কোম্পানি এবং চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন করপোরেশন (সিসিইসিসি) ও বাংলাদেশের ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড পৃথক দুই ভাগে কাজটি করছে।

Source link

Related posts

বিধিনিষেধ ঈদ পর্যন্ত বিদ্যমান থাকতে পারে, চালু হতে পারে গণপরিবহন

News Desk

সীমান্তে জরুরি রোগী ছাড়া হাসপাতালে নয় : স্বাস্থ্য অধিদফতর

News Desk

ভাসানচরে গেলো আরও ১৫৩৫ রোহিঙ্গা

News Desk

Leave a Comment