ঈদযাত্রা নির্বিঘ্নে করতে সাড়ে ১৩ কিলোমিটার দুই লেনের সড়কে প্রশাসন ও সেতু কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও সেগুলো তেমনটা কাজে আসছে না। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা উত্তরবঙ্গমুখী যানবাহনগুলো চার লেন ব্যবহার করে এলেঙ্গায় এসে দুই লেনে প্রবেশ করা মাত্রই গাড়ির গতি কমে যাচ্ছে।
বর্তমানে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব পাড় পর্যন্ত এই দুই লেনের সড়কে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ রয়েছে। ফলে কোথাও থেমে থেমে আবার কোথাও যানবাহনের ধীরগতি রয়েছে। আবার মাঝেমধ্যেই জট লেগে যাচ্ছে এই সাড়ে ১৩ কিলোমিটার সড়কে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে ঘরমুখো মানুষদের। ঈদযাত্রার শুরু থেকেই এমন চিত্র লক্ষ্য করা গেছে এ সড়কে।
জানা গেছে, ঈদযাত্রায় মহাসড়কে অতিরিক্ত পরিবহনের চাপ, রাতে বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর ফিটনেসবিহীন একাধিক পরিবহন বিকল হওয়া, সেতুতে টোল আদায় বন্ধ ও চালকদের বেপরোয়াভাবে ওভারটেকের কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে রাতভর ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে যাত্রীদের। বিশেষ করে গণপরিবহন না পেয়ে যারা খোলা গরুর ট্রাক ও পিকআপভ্যানযোগে রওনা হয়েছেন তারা বেশি বিপাকে পড়েছেন।
এদিকে, ঈদযাত্রায় যানজট এড়াতে এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্বপাড় পর্যন্ত সাড়ে ১৩ কিলোমিটার দুই লেনের সড়ক এক লেন করা হয়েছে। এতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা উত্তরবঙ্গমুখী গাড়িগুলো এলেঙ্গা থেকে সরাসরি বঙ্গবন্ধু সেতু পাড় হচ্ছে। আর উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকামুখী গাড়িগুলো বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব গোলচত্বর থেকে ভূঞাপুর হয়ে আঞ্চলিক সড়ক ব্যবহার করে প্রায় ২৯ কিলোমিটার ঘুরে এলেঙ্গায় গিয়ে চার লেনে প্রবেশ করছে। আঞ্চলিক সড়কে অতিরিক্ত গাড়ির চাপে মাঝেমধ্যেই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ওসি আলমগীর আশরাফ জানান, সেতুর ওপর পরিবহন বিকল হওয়ায় রাতে কিছু সময় টোল আদায় বন্ধ রাখা হয়। এতে মহাসড়কে পরিবহনের চাপ বেড়ে যায়।