গত ১৩ জুলাই অনলাইন পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনে ‘মেম্বারের ইয়াবার হাট, দিনে বিক্রি ২ লাখ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর থেকে নড়েচড়ে বসে জেলার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরই ধারাবাহিকতায় বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়া এলাকায় ইয়াবার হাট বসানো সেই ইউপি সদস্য (মেম্বার) ও তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এ সময় তাদের কাছ থেকে আড়াই হাজার পিস ইয়াবা, নগদ এক লাখ টাকা এবং ৫টি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) সকালে গ্রেফতার চরবাড়িয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রাসেল হাওলাদার উত্তর লামছড়ি এলাকার তোফায়েল হাওলাদারের ছেলে। তার স্ত্রী শিরিন বেগমের বিরুদ্ধে রাসেলের অনুপস্থিতিতে ইয়াবা ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করার অভিযোগ রয়েছে।
রাসেলের বিরুদ্ধে বরিশাল মেট্রোপলিটনের দুই থানায় ২০টি মাদক এবং ৪টি মারামারিসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে মামলা রয়েছে।
কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এসআই সামসুল ইসলাম, এনামুল হক ও মোস্তাফিজুর রহমান, এএসআই শওকত হোসেন, ফারুক হোসেন, কামরুল ইসলাম-২, মিজানুর রহমান ও মো. হুমায়ুন অভিযান পরিচালনা করেন। সদর উপজেলার শায়েস্তাবাদ এলাকা থেকে মৃত জালাল ফরাজীর ছেলের সাইফুল ফরাজীকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ৪৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
ওসি আরও জানান, আটক সাইফুলের দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আজ সকালে লামছড়ি গ্রামে রাসেল মেম্বারের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। আটক করা হয় রাসেল ও তার স্ত্রীকে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় আড়াই হাজার পিস ইয়াবা, ইয়াবা বিক্রির নগদ ১ লাখ টাকা এবং ৫টি ধারালো অস্ত্র। এ ঘটনায় মাদক ও অস্ত্র আইনে পৃথক দুটি মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার আশরাফুল্লাহ তাহের বলেন, ‘আটক সাইফুলের কাছ থেকে মেম্বার রাসেল দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা বিক্রির সঙ্গে জড়িত এমন তথ্য পাওয়া যায়। বিষয়টি জানার পরে বিশ্বস্ত সূত্রের মাধ্যমে অধিকতর যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে নিশ্চিত হয়ে কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান, পরিদর্শক (তদন্ত) মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্ব অভিযান চালিয়ে রাসেল ও তার স্ত্রীকে আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।’
এ পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, কাউনিয়া থানার মামলার নথি পর্যালোচনা করে ২০১২ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত মেম্বার রাসেলের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্যসহ অন্যান্য ধারায় ১২টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে।