বগুড়ার শিবগঞ্জে আন্তঃজেলা ট্রাকশ্রমিক ইউনিয়নে বিরোধের জেরে আওয়ামী লীগ নেতার ছুরিকাঘাতে বিএনপি নেতা শহিদুল ইসলাম (৫০) খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার কিচক বন্দরে আন্তঃজেলা ট্রাকশ্রমিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। পরে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে শহিদুল ইসলামের মৃত্যু হয়।
শিবগঞ্জ থানার ওসি দীপক কুমার দাস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, নিহত শহিদুল ইসলাম বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার কিচক ইউনিয়নের পালিহার কেকারপাড়া গ্রামের মৃত আফাজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি বিএনপির কিচক বন্দর কমিটির সভাপতি ও আন্তঃজেলা ট্রাকশ্রমিক ইউনিয়ন কিচক বন্দর শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
নিহত শহিদুল ইসলামের চাচাতো ভাই বগুড়া অ্যাডভোকেটস্ বার সমিতির সাধারণ সম্পাদক, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম বগুড়া ইউনিটের সহ-সভাপতি আবদুল বাছেদ দাবি করেন, সংগঠনের পদ নিয়ে শহিদুলের সঙ্গে আন্তঃজেলা ট্রাকশ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও কিচক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ এবং ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি ইয়াকুব আলীর বিরোধ চলছিল। তারা শহিদুলকে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিল।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে কিচক বন্দরে আন্ত:জেলা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে সংগঠনের পদ-পদবি নিয়ে সভা চলছিল। এ সময় মতানৈক্য দেখা দিলে শ্রমিক নেতা ও আওয়ামী লীগ নেতা আবু সাঈদ তার (শহিদুল) পেটে ছুরিকাঘাত করেন। রক্তাক্ত শহিদুলকে উদ্ধার করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করলে রাত ১০টার দিকে তিনি মারা যান।
এ ছুরিকাঘাতের পর কিচক বন্দরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
অভিযুক্ত আবু সাঈদ এলাকায় না থাকা ও ফোন বন্ধ রাখায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
শিবগঞ্জ থানার ওসি দীপক কুমার দাস বলেন, নিহত শ্রমিক নেতা শহিদুল বিএনপির রাজনীতি ও অভিযুক্ত আবু সাঈদ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকলেও হত্যাকাণ্ডটি তাদের শ্রমিক সংগঠনের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।